|
|
|
|
বন্ধ ভারী যান |
অবশেষে চিরকুণ্ডা সেতু মেরামতির প্রক্রিয়া শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের বরাকর থেকে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী চিরকুণ্ডা সেতু মেরামতির প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল রাঁচি থেকে চিরকুন্ডায় আসে। গত সোমবার মেরামতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। আপাতত প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে মোটরবাইক ও স্কুটার ছাড়া আর কোনও যানবাহন এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে সাইকেল ও অটোরিকশা চলতে দেওয়া যায় কি না, তা ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বিশেষজ্ঞ দলটি।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই সেতুর একাধিক স্তম্ভ খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। বারবার সেগুলি মেরামত করার আবেদন জানানো হলেও ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়নি। সেতুর দিয়ে ভারী যান চলাচল বহু বছর আগেই বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে চিরকুণ্ডা, বরাকর ও আসানসোল থেকে পণ্য বোঝাই মিনি লরি ও ম্যাটাডোর চলাচল করত। তাতে সেতুর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের পূর্ত দফতরের ধানবাদ ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুশীল কুমার বলেন, “আমরা সেতুটি সংস্কার করব। তিনটি স্তম্ভ বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। তাই সেতুটির দুই প্রান্তে দেওয়াল তুলে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। শুধু দু’চাকার গাড়ি চলার ও হেঁটে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল সেতু পরিদর্শন করে জানাবে, মেরামতির কাজ কবে শুরু হবে এবং কত দিনে শেষ হবে।
এ দিকে, সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যাদের দু’চাকার গাড়ি নেই তাঁদের প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ সেতু হেঁটে পার হতে হচ্ছে। আগে এই যাত্রীরা রিকশা বা অটোরিকশায় যাতায়াত করতেন। সেগুলি চলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রিকশা ও অটোচালকদের রোজগার মার খাচ্ছে। যাতায়াত করতে পারছে না স্কুলগাড়িও। সেগুলিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথে ডুবুরডিহি সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা সেতু দিয়ে রিকশা ও অটোরিকশা চলতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বরাকর চেম্বার অফ কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি দীপক দুধানির দাবি, সেতুটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সেখানে একটি সেনা সেতু (বেলব্রিজ) তৈরি করা হোক। তা হলে যান চলাচলের সমস্যা থাকবে না।
এলাকাবাসীর সমস্যা ও সেতুর অবস্থা পরিদর্শনের জন্যই গত ২২ জুলাই ঝাড়খণ্ড সরকারের পূর্ত দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সমীরকুমার সিংহের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল সেখানে যান। সমীরবাবু জানান, সেতুটির পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বর স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি মেরামত করা হবে। তবে কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে বা কত দিন সময় লাগবে সে বিষয়ে সমীরবাবু কিছু জানাননি। ঝাড়খণ্ডের পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, সাইকেল ও অটোরিকশা চলতে দেওয়া যায় কি না তা ভেবে দেখার আশ্বাস দিলেও বিশেষজ্ঞেরা ছাত্রছাত্রী বোঝাই স্কুলগাড়ি ও অন্য পণ্য বোঝাই গাড়ি চলাচল করতে দিতে রাজি হননি। কারণ, বড় গাড়ি ও পণ্য বোঝাই গাড়ি যাতায়াতের জন্য ডুবুরডিহি সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|