|
|
|
|
দুর্ঘটনার পরে ভাঙচুর লরি, সড়ক অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ধুন্ধুমার হল দুর্গাপুরে। শুক্রবার সকালে মেনগেট এলাকায় দু’নম্বর জাতীয় সড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দশটি লরিতে ভাঙচুর চালানো হয়। এর জেরে প্রায় ৪৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ রাস্তা পার হচ্ছিলেন কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। হঠাৎ তীব্র গতিতে আসানসোলের দিকে যাওয়া একটি ছোট পণ্যবাহী গাড়ি তাঁদের মধ্যে তিন জনকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রঞ্জিত রাম (২১) নামে এক যুবকের। গুরুতর জখম হন শেখ আকবর এবং মালতি বাগদি। আকবরকে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মালতি বাগদি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। |
|
সরানো হচ্ছে ট্রাক। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বাসিন্দারা জাতীয় সড়কে জড়ো হন। প্রথমে যানজট, পরে যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ কয়েক জন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লরিগুলিতে ভাঙচুর শুরু করে। ১০টি লরির কাচ ভাঙা হয়। ওই এলাকায় দূরপাল্লার বহু লরি রাতে জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এ দিন ঘটনার পরে উত্তেজনা আঁচ করে বেশ কিছু লরি পালিয়ে যায়। যেগুলি তখনও দাঁড়িয়েছিল, সেগুলিই হামলার মুখে পড়ে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার পাশে সার দিয়ে লরি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে রাস্তা পার হওয়ার সময়ে যানবাহন ঠিক মতো দেখা যায় না। ফলে দ্রুত গতিতে আসা গাড়িগুলি হঠাৎ করে সামনে চলে আসে। সে কারণে মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ভাবে এই এলাকায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখমও হন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আক্রাম, মহম্মদ ইসরাইলদের ক্ষোভ, “ওই সব লরির চালক ও খালাসিদের বারবার রাস্তার পাশে এ ভাবে গাড়ি না রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনুরোধ করার পরে দু’এক দিন কম থাকে। তার পরে ফের একই অবস্থা। অধিকাংশ দিনই টানা প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লরিগুলি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন মানুষ।”
বাসিন্দাদের অবরোধ ও লরি ভাঙচুরের ফলে জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীদের শান্ত হতে অনুরোধ করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের কথায় রাস্তা অবরোধ তুলতে চায়নি জনতা। এর পরে বড় পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন। দুর্গাপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই পণ্যবাহী লরির চালক ও খালাসির খোঁজে তল্লাশি চলছে। |
|
|
|
|
|