|
|
|
|
জমি দখল নিয়ে দু’দলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত তুফানগঞ্জ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তুফানগঞ্জ |
জমি দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তুফানগঞ্জের বলরামপুর এলাকা। বৃহস্পতিবার বলরামপুরের শোলাডাঙাচর এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত১৫ জন জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলে শোলাডাঙা চর বুথ কমিটির সভাপতি আক্কেস আলি মিঁয়াকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি জখমদের মধ্যে ১০ জন কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে এবং ১ জন তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জমিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামপুরের শোলডাঙা চর বুথের তৃণমূলের বর্তমান বুথ সভাপতির সঙ্গে প্রাত্তন বুথ সভাপতি বান্দে আলি মিঁয়ার অনুগামীদের বিরোধ চলছিল। প্রাক্তন সভাপতির অনুগামী বলে পরিচিত মিয়াচাঁদ শেখের জমি বর্তমান সভাপতির কয়েকজন অনুগামী দখল করতে যান বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। বর্তমান বুথ কমিটির সভাপতির অনুগামীরা শান্তি মিছিলও বার করেন। ওই মিছিল থেকে বর্তমান সভাপতি এবং তাঁর অনুগামীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এর পরে দুই পক্ষের সমর্থকেরা লাঠিসোটা, বল্লম এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য হরিপদ রায় বলেন, “ওই বুথের বর্তমান এবং প্রাক্তন সভাপতির অনুগামীদের বিরোধের জেরেই সংঘর্ষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ফজল করিম মিঁয়া বলেন, “নিজেদের সমর্থকদের ভুল বোঝাবুঝি থেকেই ওই গোলমাল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এলাকায় গিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।” দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |
|
|
|
|
|