|
|
|
|
শিক্ষকদের মারপিটে পড়াশোনা শিকেয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা•বালুরঘাট |
দুই শিক্ষকের মারপিটের ঘটনায় পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে একটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার বদলপুর শিক্ষাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। গোলমালের ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ শিক্ষাকেন্দ্রটির প্রধান শিক্ষক তথা সিপিএম নেতা জয়দীপ দত্তকে এবং সহ শিক্ষক আবদুল রেজ্জাককে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার মারপিটের ঘটনার পর থেকেই স্কুলটি কার্যত বন্ধ রয়েছে। ঘটনাচক্রে প্রধান শিক্ষক তৃণমূলের জেলা সম্পাদকের মাসতুতো ভাই। অভিযোগ, আবদুল রেজ্জাকের নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল চলছিল। ওই দিন গোলমাল চরমে উঠলে পড়ুয়াদের সামনেই মারপিটে জড়িয়ে পড়েন দুই শিক্ষক। জয়দীপবাবু গলা টিপে আবদুলবাবুকে খুনের চেষ্টা করেন বলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। পাল্টা অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষকও। ওই দুই শিক্ষক ছাড়াও গোলমালে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিথ্যা অভিযোগে সহশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তাঁর মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। এ দিকে দলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজুর পরে সিপিএমের তরফে মঙ্গলবার পাল্টা অভিযোগ করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, গোলমালের সময়ে এক মহিলার শ্লীলতাহানি এবং তাঁর সোনার হার ছিনতাই করা হয়েছে। ১২ জন তৃণমূল নেতা সমর্থকের বিরুদ্ধে তাঁরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। তৃণমূল ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। জেলা পুলিশ সুপার স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ণপাত্র বলেন, “দুই পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইসি’কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, “গলা টিপে ধরার অভিযোগ মিথ্যে। আবদুলবাবুই আমার উপর চড়াও হন।” আব্দুলবাবু বলেন, “ওই দিন প্রধান শিক্ষক আচমকা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গলা টিপে ধরেন। অন্যান্য শিক্ষকেরা এগিয়ে না এলে মারা যেতাম।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষা কেন্দ্রে সহশিক্ষক আবদুলবাবুর নিয়োগ মেনে নিতে পারেননি। আদালতে মামলাও হয়। পঞ্চায়েতের শিক্ষা স্থায়ী সমিতি এবং শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালন সমিতির সম্পাদক এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালে আবদুল রেজ্জাককে নিয়োগ করা হয়। তবে প্রধান শিক্ষককের সঙ্গে আবদুলবাবুর মনমালিন্য চলছিল। পরিচালন সমিতির সম্পাদক অনিল বর্মন বলেন, “স্কুলের হাজিরা খাতায়-সহ শিক্ষকের সই সাদা কালি দিয়ে মুছে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে অভিযোগ উঠলে তদন্তের জন্য দুই শিক্ষকের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।” |
|
|
|
|
|