|
|
|
|
খুনের অভিযোগ করলেন স্ত্রী |
মালদহে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু ব্যবসায়ীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
চারতলার ছাদ থেকে পড়ে এক জমি ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে মালদহে শহর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ইংরেজবাজার থানার কৃষ্ণপল্লির বাপুজি কলোনিতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম নিতাই ঘোষ (৪৫)। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে বুড়াবুড়িতলার নিতাই ঘোষ নামে এক ব্যক্তি ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মেরে ফেলেছে। মৃতের স্ত্রীর ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৃত ব্যক্তি জমির ব্যবসায়ী। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিতাই ঘোষ-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপুজি কলোনির নিতাই ঘোষ ও বুড়াবুড়িতলার নিতাই ঘোষ কখনও একসঙ্গে, কখনও আলাদা ভাবে জমির ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি ঘোড়াপীরের কাছে ৬ কাঠা জমির কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে |
তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে, বাপুজি কলোনির নিতাই ঘোষ ঘোড়াপীরের ৬ কাঠা জমি বুড়াবুড়িতলার নিতাই ঘোষের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু জমির দলিলে ভুল থাকায় বুড়াবুড়িতলার নিতাই ঘোষ সেই দলিল সংশোধন করার জন্য বাপুজি কলোনির নিতাই ঘোষকে বহুবার অনুরোধ করেছিল। অভিযোগ, বাপুজি কলোনির নিতাই ঘোষ ওই দলিলটি সংশোধন করছিলেন না। সেই জমির দলিলটি সংশোধন করার চাপ দিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বুড়াবুড়িতলার নিতাই ঘোষ ৭-৮ জনকে নিয়ে বাপুজি কলোনির নিতাই ঘোষের বাড়িতে চড়াও হয়। |
নিতাই ঘোষ। |
|
মৃত নিতাই ঘোষের স্ত্রী অভিযোগ করেন, “দুপুরের খাবার খেয়ে আমার স্বামী শোওয়ার ঘরে যাচ্ছিল। সেই সময় বুড়াবুড়িতলার নিতাই ঘোয এসে ডাকে। দরজা খুলতেই নিতাই ঘোষ ৭-৮জন সাকরেদকে নিয়ে আমার স্বামীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘কতদিন থেকে বলছি দলিলটা ঠিক করে দে। তবুও তুই ঠিক করে দিচ্ছিস না। খালি আমাকে ঘোরাচ্ছিস। আজ তোকে ছাদ থেকে ফেলে মেরেই ফেলব।’ এই বলে নিতাই ঘোষ ও তাঁর সাকরেদরা আমার স্বামীকে চ্যাংদোলা করে চারতলার ছাদে নিয়ে যায়। এরপর ছাদ থেকে স্বামীকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।” এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা নিতাইবাবুকে তুলে তাঁরা মালদহ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, নিতাই ঘোষকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাঁর পরিবারের লোকের থানায় ফোন করলে পুলিশ আসেনি। চার ঘন্টা পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে যান। ততক্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের এই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|