|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গের সচিবালয়ে ভিড় বাড়ছে, হাজির মোর্চা নেতাও |
নমিতেশ ঘোষ • শিলিগুড়ি |
কেউ এসেছেন উন্নয়নের দাবি নিয়ে। কেউ ‘কমিউনিটি বেস ইকো ট্যুরিজম’ নিয়ে আলোচনা করতে। হাটের সমস্যা নিয়েও হাজির হয়েছেন কয়েকজন। মোর্চার এক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ঠায় বসে রয়েছেন। কয়েকজন সাংবাদিকও ঘোরাফেরা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের ছোট্ট ‘ওয়েটিং রুম’ ভিড়ে ঠাসা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব সচিবালয়ে বসা শুরু করতেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে সচিবালয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ মাটিগাড়ার শিবমন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের শাখা সচিবালয়ে যান মন্ত্রী। এর পরেই একের পর এক বৈঠক করেন তিনি। দেখা করেন প্রায় প্রত্যেকের সঙ্গে। ভিড় দেখে উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, আপাতত অস্থায়ী ভাবে সচিবালয় চালু হয়েছে। বর্তমানে অফিসটি যেখানে রয়েছে সেই অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের অফিসে তৃতীয় তলার কাজ চলছে। সেখানে সচিবালয়ের জন্য পরিকোঠামো থাকবে। কনফারেন্স হলও থাকবে। মন্ত্রী বলেন, “স্থায়ী ভবনের কাজ শেষ করতে এক বছর সময় লেগে যাবে। তার আগে বর্তমান অফিসের তিন তলায় পরিকাঠামো তৈরি হবে। সেখানে কাজ হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ হবে।”
এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ সচিবালয়ে যান বাগডোগরা নাগরিক কমিটির একটি প্রতিনিধি দল। এর পরে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শঙ্কর আধিকারী, ইকো ট্যুরিজমের সঙ্গে যুক্ত দেবাশিস চক্রবর্তী, মাটিগাড়া হাট কমিটির কয়েকজন প্রতিনিধি সহ বেশ কিছু সংগঠনের সদস্যরা। সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব রজত সাইনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী প্রথমেই বাগডোগরা নাগরিক কমিটির সঙ্গে দেখা করেন। কমিটির সদস্যরা বাগডোগরাকে পুরসভা ঘোষণার দাবি, পূর্ণাঙ্গ হাসাপতাল গড়ে তোলা, অডিটোরিয়াম তৈরি সহ বেশ কিছু দাবি রাখেন মন্ত্রীর কাছে। এর পরেই মন্ত্রী যুগ্ম সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সমস্ত সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
বাগডোগরা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “বহুদিন ধরেই বাগডোগরাকে পুরসভা করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এবারে সচিবালয়ে হাতের কাছে থাকায় সেখানে এসেই মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। বিভিন্ন দাবি রেখেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।” ইকো ট্যুরিজমের সঙ্গে যুক্ত দেবাশিসবাবু বলেন, “পর্যটন সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।” মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শঙ্করবাবু বলেন, “কিছু প্রয়জোনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি।” মন্ত্রী বলেন, “অনেকেই এসেছিলেন। নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। ২০০ কোটি টাকা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা থেকেই কাজ হবে।”
মঙ্গলবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে বলতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। বুধবার নানা বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় তিনি সচিবালয়ে যেতে পারেননি। এদিন তাঁর দ্বিতীয় দিন। সচিবালয়ে মন্ত্রী বসার খবর চাউর হওয়ার পরেই ভিড় বেড়েছে। আজ, শুক্রবার উন্নয়ন মন্ত্রী ডুয়ার্সে যাবেন। সেখানে দু’দিন থেকে কলেজ, পর্যটনের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন। সেখান থেকে শিলিগুড়ি ফিরে তিনি যাবেন মালদহে। আগামী ৩ অগষ্ট তিনি ফের সচিবালয়ে বসতে পারেন। এদিন সকালে মন্ত্রী শিববমঙ্গল হাইস্কুলে। সেখানে স্কুলের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। মন্ত্রী দ্রুত সাহায্যের আশ্বাস দেন। এরপর মন্ত্রী শালুগাড়ার সোরিয়া পার্কে যান। ওই পার্ক ঘিরে কটেজ তৈরি-সহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখেন। স্মরণসভা। নকশাল নেতা চারু মজুমদারের ৪৮ তম প্রয়ান বার্ষিকীতে শহিদ দিবস পালন করল সিপিআই (এমএল) নিউ ডেমোক্র্যাসি। দলের পক্ষ থেকে এ দিন হাসমি চকে স্মরণসভা এবং মিছিল হয়। |
|
|
|
|
|