|
|
|
|
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদে ‘দলতন্ত্রে’র অভিযোগ করলেন বিমান বসু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ গঠন নিয়ে তৃণমূল জোট সরকার ‘দলতন্ত্র’ করছে বলে অভিযোগ করলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। বাম আমলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নেওয়া হত দাবি করে বৃহস্পতিবার বিমানবাবু বলেন, “জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সাংসদ এবং বিধায়করা পর্ষদের সদস্য হতেন। কিন্তু এ বার একতরফা ভাবে পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। প্রায় সবই তৃণমূলের লোক। সেইসঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তিন বিধায়ক রয়েছেন।” বিমানবাবু জানান, কংগ্রেস থেকে শুধু বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের উদয়ন গুহকে নেওয়া হয়েছে। বিমানবাবু বলেন, “ফ ব বিধায়ক হিসাবে উদয়নবাবুকে নেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত ভাবে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ভাবে পছন্দমতো কোনও বাম বিধায়ককে পর্ষদের সদস্য করে বামফ্রন্টের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না।” কেন কোনও জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে নেওয়া হল না, সে প্রশ্নও তোলেন বিমানবাবু।
এ দিন বামফ্রন্টের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের প্রসঙ্গ তোলেন বিমানবাবু নিজেই। বৈঠকের পর তিনি বলেন, “যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে দলতন্ত্রের অভিযোগ তুলে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলতেন, তাঁরাই ক্ষমতায় এসে অবলীলাক্রমে দলতন্ত্রের আলখাল্লা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন!” কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, বামফ্রন্টের ৩৪ বছরে কোথাও বিরোধীদের কোনও পদে বসানো হয়নি। ফলে বামেদের মুখে মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে দলতন্ত্রের অভিযোগ সাজে না। এ কথার কোনও জবাব না দিয়ে বিমানবাবু বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যাঁরা দলতন্ত্রের অভিযোগ করতেন, তাঁদের কথা বলা হচ্ছে। তাঁদের প্রসঙ্গেই বামফ্রন্টে আলোচনা হয়েছে। আমরা কী করতাম, সে প্রসঙ্গে আলোচনা হয়নি!” প্রসঙ্গত, প্রয়াত কমল গুহের পুত্র ফ ব বিধায়ক উদয়নবাবুকে উন্নয়ন পর্ষদে নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে বিমানবাবু জানালেও ফ্রন্টের বৈঠকে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করা মাত্রই প্রতিবাদ করেন ফ ব নেতা হাফিজ আলম সৈরানি। হাফিজ বলেন, উদয়নবাবুকে নেওয়া হয়েছে, এমন কোনও খবর ফব নেতৃত্বের কারও জানা নেই। বিষয়টি কাগজে বেরিয়েছে শুধু। কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। তবুও বিমানবাবু সাংবাদিক বৈঠকে উদয়ন-প্রসঙ্গ তোলায় বিস্মিত সৈরানি পরে বলেন, “বিষয়টি বিমানদাকে বুঝিয়ে বলার পরেও পরেও কেন তিনি ও কথা বললেন জানি না। আমরা উদয়নবাবুকেও জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনিও জানান, কোনও সরকারি চিঠিপত্র পাননি।” উদয়নবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, “আমি কোনও চিঠি পাইনি।” চিঠি পেলে কি পর্ষদে যোগ দেবেন? উদয়নবাবু বলেন, ‘‘আগে চিঠি পাই। তারপরে দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|