|
|
|
|
অভিযুক্ত আর জি কর |
বাবার মৃত্যুতে দায়ী হাসপাতাল, নালিশ মমতাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য পথ-দুর্ঘটনায় আহত অশোককুমার রায় মারা গিয়েছেন বলে তাঁর দুই ছেলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বৃহস্পতিবার মহাকরণে গিয়ে দুই ছেলে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি দিয়ে যান। পথ-দুর্ঘটনায় মৃতদের অন্ত্যেষ্টির জন্য পরিবহণ দফতর ১০ হাজার টাকা দেয়। অশোকবাবুর দুই ছেলে এ দিন মহাকরণে হাজির হন।
রবিবার বিকেলে বিডন স্ট্রিটে সিএসটিসি-র একটি বাস ফুটপাথে উঠে অপেক্ষমাণ লোকজনকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই এক জন মারা যান। আহত কয়েক জনকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের অন্যতম, বাগুইআটি থানা এলাকার উত্তর রঘুনাথপুরের বাসিন্দা অশোককুমার রায়
মারা যান মঙ্গলবার। তাঁর দুই ছেলে অসীম ও অরিন্দম রায় হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হন। তাঁরা পরিবহণ দফতরের কর্তাদের বিষয়টি জানান।
অসীম ও অরিন্দম এ দিন মহাকরণে পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব তথা সিএসটিসি-র চেয়ারম্যান তারাপদ মাঝির কাছে গিয়েছিলেন টাকা নিতে। তারাপদবাবুর কাছেও তাঁরা হাসপাতালে গাফিলতির অভিযোগ করেন। বলেন, “বাবার পায়ের উপর দিয়ে বাসের চাকা চলে গিয়েছিল। প্রথম থেকেই চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। রবিবার বেলা ২টোয় যন্ত্রণা চরমে উঠলে চিকিৎসক ডাকার জন্য নার্সদের বারবার অনুরোধ করি।” দুই ভাইয়ের অভিযোগ, চিকিৎসক আসেন সন্ধ্যার পরে। ইঞ্জেকশন দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সব শেষ। পরে স্বাস্থ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লিখিত অভিযোগ জানান দুই ভাই।
তারাপদবাবু বলেন, “ওঁদের অভিযোগের কথা পরিবহণমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, সত্যি এটা হয়ে থাকলে তা দুঃখজনক। তবে আমরা সবে প্রশাসনের দায়িত্ব পেয়েছি। এখনই রাতারাতি সব বদলে দেওয়া সম্ভব নয়।” আর জি করের সুপার পার্থজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা কোনও রোগীকে ফেরাতে পারছি না। এত রোগী আসছে যে, মেঝেতেও জায়গা হচ্ছে না। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এত কম যে, রোগীদের উপরে যথেষ্ট নজরও দেওয়া যাচ্ছে না।”
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠিতে হাসপাতালে নার্সদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের দুই ছেলে। এ ব্যাপারে সুপার বলেন, “কাজের চাপে হাসপাতালের কর্মীদের একটা বড় অংশ নিজেদের ঠিক রাখতে না-পেরে হয়তো এ-রকম করেন। ওঁদের মানসিকতা রোগীর স্বজনদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় না। আমরা অসহায়।”
ওই পথ-দুর্ঘটনার পরে মন্ত্রী-সচিবেরা আর জি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন। অসীম-অরিন্দম এ দিন বলেন, “সরকার তো আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করার আশ্বাস দিয়েছিল।” তারাপদবাবু বলেন, “আপনারা জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরাও ওঁকে বলে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য তহবিল আছে জেলায়।” |
|
|
|
|
|