|
|
|
|
দীনবন্ধু মঞ্চ |
সংস্কারের মান নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। দেওয়ালের চাঙর খসে পড়ছে। যে চেয়ার বসানো হয়েছে তাতে বসতে গিয়ে খোঁচা লেগে কাপড় জামা ছিঁড়ে যাচ্ছে। ‘সাউন্ড সিস্টেম’ ভাল হয়নি। বছর খানেক আগে বাম আমলে পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের উদ্যোগে প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকা খরচ করে শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চের যে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল তার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার দীনবন্ধু মঞ্চ সংস্কারের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার, তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বুধবারও এক প্রস্থ বৈঠক করেছেন। সেখানেই কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
অশোকবাবু যদিও বলেন, “সংস্কারের কাজ পূর্ত দফতর করছে। কী কাজ হয়েছে, তারা জানেন।” অন্য দিকে গৌতমবাবুর বক্তব্য, “ছাদ চুইঁয়ে জল পড়ছে। দরজার হাতল ঠিক নেই। নতুন যে চেয়ার বসানো হয়েছে তা দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমসে’র জন্য কেনা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। তা এই প্রেক্ষাগৃহের উপযুক্ত নয়। হাতলের খোঁচায় দর্শকদের পোশাক ছিঁড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” দীনবন্ধু মঞ্চের হাল ফেরাতে নতুন করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে চেয়ার বসাতে। মন্ত্রী জানান, মঞ্চের সামনে ৮ ফুটের মতো জায়গা ছেড়ে কী করে চেয়ার বসানো হবে তার পরিকল্পনা ‘আর্কিটেক্ট’ করবেন। প্রেক্ষাগৃহটিকে নতুন রূপ দিতে সিলিংয়ের সংস্কারও প্রয়োজন। আগে কমিটির সদস্য, মন্ত্রীদের জন্য কিছু আসন সংরক্ষিত রাখা হত। তবে গৌতমবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ততে কমিটির সদস্য বা মন্ত্রীরা পাঁচ জনের মতোই। তাই আসন সংরক্ষণের দরকার নেই। আমজনতা তা ব্যবহার করতে পারবেন।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, মঞ্চে বসার ব্যবস্থা, সাউন্ড সিস্টেম, শৌচাগার সব সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হবে। পর্দা লাগানো হবে। সংস্কারের জন্য যে ৬৬ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার বেশির ভাগই খরচ হয়ে গিয়েছে। ২০ লক্ষ টাকার কাজ বাকি রয়েছে। বাড়তি বরাদ্দ দিয়ে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করা হবে। দীনবন্ধু মঞ্চের উপদেষ্টা কমিটিও নতুন করে গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|