|
|
|
|
শ্যালক খুনে ধৃত জামাইবাবু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইঁদপুর ও পুঞ্চা |
কিশোর শ্যালককে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন জামাইবাবু। বৃহস্পতিবার সকালে ইঁদপুর থানার নামোকেচেন্দা গ্রামের কাছে নালার ভিতরে অর্পণ পাত্র (১৫) নামে ওই কিশোরের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ইঁদপুর থানার ভেদুয়াশোলে তার বাড়ি। ভেদুয়াশোল হাইস্কুলে সে নবম শ্রেণিতে পড়ত। পরে, তার বাবা অজিত পাত্র মেজোজামাই সুপ্রিয় পতির বিরুদ্ধে ছেলেকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুঞ্চার ছিরুডি গ্রাম থেকে পুলিশ সুপ্রিয়কে গ্রেফতার করে।
২২ জুলাই ছিরুডি গ্রামের বাসিন্দা সুপ্রিয় পতির সঙ্গে বিয়ে হয় অর্পণের মেজদিদির। অষ্টমঙ্গলা উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সুপ্রিয় ভেদুয়াশোলে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। অর্পণের বাবা অজিত পাত্রের অভিযোগ, “বুধবার দুপুরে ছেলেকে নিয়ে জমাই সুপ্রিয় তার মাসির বাড়ি ইঁদপুর থানার ছাতাপুরে যাবে বলে বেরোয়। কিন্তু জানতে পারি সেখানে তারা যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধ্যান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে ইঁদপুরের বনকাটা সেতুর কাছে অর্পণকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সুপ্রিয়ই তাকে খুন করেছে বলে আমাদের সন্দেহ।”
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বুধবার রাতে সুপ্রিয় তাঁর মাসির বাড়ি যাননি। সন্ধ্যায় একা মামারবাড়ি ইঁদপুরের হিতাশি গ্রামে গিয়েছিলেন। মাঝরাতে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান। সুপ্রিয়র খবর না পেয়ে তাঁর মামারা মাঝরাতেই ভেদুয়াশোলে খোঁজ নিতে আসেন। কিন্তু রাতে সেখানে তিনি ফেরেননি। ছিরুডির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের নিখিলেশ পতি বলেন, “সুপ্রিয় ভিন রাজ্যে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করে। বৃহস্পতিবার ভোরে তার শ্বশুর অজিতবাবু ফোন করে ছেলে ও জামাইয়ের খোঁজ করেন। জানতে পারি সুপ্রিয় বাড়িতে নেই। বেলার দিকে বাড়িতে ফেরার খবর পেয়ে পুলিশে জনাই।” এর পরে পুঞ্চার পুলিশের সাহায্যে ইঁদপুর থানার পুলিশ সুপ্রিয়কে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অর্পণের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অর্পণকে জলে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। যদিও সুপ্রিয়র বাবা বিজয়বাবু বলেন, “আমার ছেলে এরকম কাজ করতে পারে না। যদি সত্যিই দোষী হয় শাস্তি পাবে।” |
|
|
|
|
|