|
|
|
|
স্কুলে ‘অমানবিক’ শাস্তি, বিক্ষোভ নিমতায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্কুলের একপাশে দেওয়াল ঘেরা একটি জায়গায় পরপর শৌচাগার। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি নোংরা শৌচাগারে না ঢুকে বাইরের দিকটি ব্যবহার করেছিল। সেই ‘অপরাধে’ গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে সেই ছাত্রীকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় স্কুলের মাঠে। স্কুলের মাইকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই কথাও। শুক্রবার এই ঘটনার জেরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে বিরাটির উত্তর দমদম বালিকা বিদ্যাপীঠে। অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দেয় নিমতা থানার পুলিশ।
ছাত্রীটি এ দিন বলে, “ভিতরে দুর্গন্ধ আর নোংরা ছিল। তাই আমি সেখানে না ঢুকে ঘেরা জায়গাটা ব্যবহার করি। প্রধান শিক্ষিকা আমাকে ডেকে বকাবকি করেন। আমি তখন ক্ষমা চেয়ে বলি আর কখনও এমন হবে না।” অভিযোগ, তা-ও তিনি পোস্টারে ঘটনাটি লিখে স্কুলের মাঠে ছাত্রীটিকে দাঁড় করিয়ে রাখেন। মাইকে সব ক্লাসে ওই ছাত্রীর অবস্থা দেখে যেতেও বলেন। ছাত্রীটি এ দিন বলে, “অনেকে আমাকে দেখে হাসতে থাকে। আমি কেঁদে ফেলি। বাইরের লোকেদেরও ভিড় জমে যায়।”
এ সব দেখে কয়েক জন স্থানীয় মানুষ, অভিভাবক ও স্কুল শিক্ষিকা বিষয়টির প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর অভিভাবকেরাও ছুটে আসেন। কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা মাধবীমঞ্জরি গুহ জানান, ওই ছাত্রীকে যথাযোগ্য শাস্তি দিতেই তিনি এমন করেছেন। এর পরেই জনতা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। প্রধান শিক্ষিকার টেবিলের কাচ ও কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “মেয়েটি বড় হয়েছে। লজ্জায় সে তখন মুখ লুকিয়ে কাঁদছে। অথচ এত কিছুর পরে ওই প্রধান শিক্ষিকা কিছুতেই বুঝতে চান না যে এটা অন্যায় হয়েছে।”
এ দিকে, ততক্ষণে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিমতা থানার পুলিশ। ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকাকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। |
|
|
|
|
|