টুকরো খবর

স্কুল থেকে পালাতে গিয়ে হাতে বিঁধল লোহার ফলা
অঙ্কের হোমওয়ার্ক করা হয়নি। অগত্যা ছুটির আগেই স্কুল থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র। কিন্তু প্রায় ১৫ ফুট লম্বা গেট পেরোনোর সময়ে পা পিছলে বিপত্তি ঘটে। গেটের উপরে লাগানো ত্রিশূলের ফলায় গেঁথে যায় বাঁ হাত। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। যদিও দমকল আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা লোহার ওই ফলা কেটে উদ্ধার করে ছাত্রটিকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে ঘাটাল শহরের বিদ্যাসাগর হাইস্কুলে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দেবব্রত মান্না নামে ওই ছাত্র জ্ঞান হারায় ঘটনাস্থলেই। তাকে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তম পিরিয়ডে অঙ্কের ক্লাস ছিল। ষষ্ঠ পিরিয়ড শেষেই স্কুল থেকে পালানোর চেষ্টা করে ঘাটাল শহরের কোন্নগরের বাসিন্দা দেবব্রত। তার সহজ স্বীকারোক্তি, “অঙ্কের হোমওয়ার্ক করা হয়নি। বকুনি খাওয়ার ভয়ে পালানোর চেষ্টা করি।” স্কুলের ওই গেটটি বন্ধই থাকে অধিকাংশ সময়। প্রধানশিক্ষক দুলাল কর বলেন, “সকলের নজর এড়ানোর জন্য ওই গেট তড়িঘড়ি টপকাতে গিয়েই অঘটন ঘটে। হাতের ভিতর লোহার রড গেঁথে রয়েছে বলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। চিকিৎসার খরচ-সহ যাবতীয় সাহায্য করব আমরা।”

কিশোর খুন
গলা কেটে খুন করা হল এক কিশোরকে। ঘটনাস্থল বেলপাহাড়ির কাশমাড় গ্রাম। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই নিখিল মুড়া (১৬)-কে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা, কেন নিখিলকে খুন করেছে সে ব্যাপারে পুলিশ অন্ধকারে। বুধবার বিকেলে বাড়িতেই নিখিলের মৃতদেহ পাওয়া যায়। গলায় ছিল ক্ষতচিহ্ন। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ নিখিলের বিধবা মা ছন্দা মুড়া। বাড়ির কুড়ুলটিও উধাও বলে পুলিশকে জানিয়েছে নিখিলের দুই দিদি সমতা ও অসতা। বছর পাঁচেক আগে নিখিলের বাবা মারা গিয়েছেন। পিংলার মালিগ্রামের একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত নিখিল। হস্টেলে থাকত। হস্টেলে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও নিখিলের কাছে একটি মোবাইল পাওয়া যায়। এর পরই বাড়ি চলে আসে সে। এ নিয়ে নিখিলের সঙ্গে ছন্দাদেবীর অশান্তি হয়। বুধবার চাষের কাজে মা ও দিদিদের সঙ্গে নিজেদের জমিতে গিয়েছিল নিখিল। দুপুরে নিখিলকে নিয়ে ছন্দাদেবী বাড়ি ফিরে যান। বিকেলে বাড়ি ফিরে ভাইয়ের মৃতদেহ দেখতে পান দুই দিদি।

হাড়গোড় কাণ্ডে ফের গ্রেফতার
সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের গ্রামের বাড়ির কাছ থেকে হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃত ব্যক্তির নাম সুকুমার পাতর। বৃহস্পতিবার কেশপুরের আনন্দপুরে হাতবাঁধি গ্রামের বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ক’দিন আগেই হাড়গোড়-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে এক সময় সুশান্তবাবুর আপ্ত-সহায়কের দায়িত্ব সামলানো দেবাশিস পাইন ও সিপিএম সমর্থক গুণধর রাণাকে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত গুণধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সুকুমারের হদিস মিলেছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ জন। প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছিল শেখ সইফুল নামে এক সিপিএম কর্মীকে। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে গত জুন মাসে সুশান্তবাবুর আদি বাড়ির অদূরে, গড়বেতার বেনাচাপড়া লাগোয়া দাসেরবাঁধ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। দাবি করা হয়, ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কেশপুরের পিয়াশালা গ্রামে যে ৭ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে খুন করে দেহ লোপাট করেছিল সিপিএমের ‘সশস্ত্র বাহিনী’, এই হাড়গোড় তাঁদের। ওই ৭ জনের মধ্যে দু’জনের দেহ অবশ্য আগেই পাওয়া গিয়েছে। এই মামলায় ৪০ জন অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে সুশান্তবাবুরও। তবে তিনি ইতিমধ্যেই আগাম জামিন নিয়েছেন।

আইওসি’র মহিলা আধিকারিক খুন
শিল্পশহর হলদিয়ায় খুন হলেন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি)-এর এক মহিলা আধিকারিক। আইওসি’র কর্মরত মহিলাদের হস্টেলের ঘরেই বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় মার্টিনা আইঙ্গ (৫০) নামে ওই মহিলার দেহ। বছর খানেক আগে বারাউনি থেকে বদলি হয়ে হলদিয়ায় এসেছিলেন তিনি। মার্টিনার স্বামী সুশীল আইঙ্গ কর্মসূত্রে বারাউনিতেই থাকেন। তাঁদের মেয়ে কলকাতার এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন।

চার ভাইয়ের জেল
বিদ্যুতের খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে প্রতিবেশীকে মারধর ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে কারাদণ্ড হল চার ভাইয়ের। সরকারি আইনজীবী অমল ওঝা জানান, কাঁথি থানার হিঞ্চি গ্রামের ওই চার ভাইয়ের মধ্যে আরশাদ আলি খানকে চার বছর ও ইসলাম আলি খান, আশরাফুল আলি, সেরাজুল আলি খান নামে বাকি তিন ভাইকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন কাঁথি আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফের নদীতে মৃত্যু যুবকের
ফের কাঁসাইয়ের জলে তলিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম সোমনাথ মল্লিক (৩২)। বাড়ি মেদিনীপুরের পালবাড়ি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রাই নদীর জলে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কী ভাবে জলে তলিয়ে গেলেন এই যুবক, সে নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার ফলে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে নদীবক্ষে। এলাকার অধিকাংশ মানুষের দাবি, এই গর্তে পড়েই মৃত্যু হয়েছে সোমনাথের। পালবাড়ির বাসিন্দা পুষ্প বটব্যাল বলেন, “এর আগেও নদীর জলে তলিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। যন্ত্র দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি তোলার ফলেই গর্ত হচ্ছে। এ ভাবে বালি তোলা বন্ধ হওয়া উচিত।” তবে সোমনাথের মৃত্যু নিয়ে অন্য মতও রয়েছে। স্থানীয়দেরই একাংশের বক্তব্য, দেহটি যেখানে ছিল, তা দেখে মনে হচ্ছে অসর্তকতার ফলেই ওই যুবক জলে পড়ে যান। আর উঠতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে এমন ধারণা পুলিশেরও। স্থানীয় একাংশের আবার বক্তব্য, কেউ বা কারা সোমনাথকে মারধর করে জলে ফেলে দেয়। তবে পুলিশ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কারণ, প্রাথমিক ভাবে মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কোতোয়ালি থানার আইসি পবিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও ভাবে জলে পড়েই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে। তবে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরের আগে বাড়ি থেকে বেরোন সোমনাথ। তার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মিলছিল না।

প্রয়াত সাহিত্যিক
মঙ্গলবার বিকেলে প্রয়াত হয়েছেন তমলুকের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইন্দুভূষণ অধিকারী (৭৬)। চতুরঙ্গ নামে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে গ্রন্থ রয়েছে তাঁর।
Previous Story Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.