জল-কাদার চেনা মাঠেও ড্র-ই সান্ত্বনা |
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য |
সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-২ (আল সেহি, আল ওয়াহাবি)
ভারত-২
(জেজে, গৌরমাঙ্গি) |
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির মধ্যে যখন ম্যাচটা শুরু হল তখন মনে হয়েছিল ভারতীয় ফুটবলাররা সুবিধে পাবেই। মাঠে জলও জমে ছিল। আমিরশাহির ফুটবলারদের এসব মাঠে খেলার সে রকম অভিজ্ঞতা নেই। তবে ওদের ৩-০ হারানো সম্ভব বলে মনে হয়নি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে প্রাক-বিশ্বকাপের ম্যাচে ২-৫ হেরে বিদায় নিল ভারত। প্রথম রাউন্ড থেকেই। |
|
গোলের পর গৌরমাঙ্গি সিংহকে নিয়ে ভারতীয় ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। -পিটিআই |
যতটা জল মাঠে জমে ছিল তাতে আমি বেশি অবাকই হলাম কী করে রেফারি ম্যাচটা চালিয়ে গেল। কোনও কোনও জায়গায় তো বুটই ডুবে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল কলকাতা ময়দানের কোনও প্রথম ডিভিশনের ম্যাচ। কিন্তু এটা তো আর্ন্তজাতিক ম্যাচ! এই মাঠে সুস্থ ফুটবল হয় না। ম্যাচটার প্রথম ১৫-২০ মিনিটে কিন্তু সুনীল ছেত্রী-জেজেরা বেশ তেড়েফুঁড়ে খেলছিল। কিন্তু তার পর থেকেই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে আমিরশাহি। খুব তাড়াতাড়ি ওরা জমা জলের উপর ‘কিক এন্ড রান’ ফুটবলটা রপ্ত করে নিল। মেহতাব-নবিরা বর্ষার জমা জলে প্রচুর খেললেও যতটা ভাল খেলবে মনে করেছিলাম ততটা আর খেলল কোথায়? কোনও পাস ঠিক জায়গায় পৌঁছচ্ছিল না। জলে আটকে যাচ্ছিল। হাফ টাইমের মিনিট সাতেক আগে খালিলের ক্রসে যখন হেড করছে সেহি তখন দোষটা ভারতীয় ডিফেন্সের। রাজু-গৌরমাঙ্গিরা নিজেদের জায়গায় ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে আরও খারাপ অবস্থা হল মাঠের। যেন খোঁয়াড়। আমিরশাহি তখন ম্যাচটা ধরেছে। মাঝেমাঝে গোলমুখ খুলেও ফেলছিল। এই সময়েই ওয়াহাবির দু’নম্বর গোল। জেজের গোলটার কথা বলি। ভাল একটা ক্রস, সেখানে ঠিক জায়গায় মাথাটা ছোঁয়ানো। কোলাসোর ফুটবলারদের খেলা দেখে একটা কথা বারবার মনে হচ্ছিল। এই দলটায় বিদেশি কোচের দরকার নেই। কোলাসো একদম ঠিকই খেলাচ্ছে। সুনীল-জেজেরাও বিপক্ষ যে-ই হোক, শেষ পর্যন্ত লড়ে নিতে পারে। এরই ফসল দ্বিতীয় গোল। বক্সের মধ্যে একটা জটলা। পায়ের জঙ্গলের ফাঁক থেকে গৌরমাঙ্গি শটটা জায়গায় রাখল। ইনজুরি টাইমের ওই গোলেই ম্যাচ ড্র, সান্ত্বনাও বটে। |
|