|
|
|
|
লন্ডনকে পাখির চোখ করেছেন বিন্দ্রা, মেরিকম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অলিম্পিকে সোনা জেতাটা অনেকটাই লটারি পাওয়ার মতো, বলছেন তিনি। আর নিজেকে বলছেন, ‘সাধারণ শুটার’। তবে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত সোনাজয়ী প্রথম ভারতীয় অভিনব বিন্দ্রা জানিয়ে রাখছেন, লন্ডন গেমস থেকেও দেশকে পদক এনে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন। আর নিজের ‘লটারি’ তত্ত্বে পাশে পাচ্ছেন আর এক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এম সি মেরিকমকে। যিনি নিজের প্রথম এবং শেষ অলিম্পিক থেকে পদক জিততে বেশ মরিয়া।
লন্ডন অলিম্পিকের আর ঠিক এক বছর বাকি থাকা উপলক্ষে বুধবার রাতে এখানকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিন্দ্রা ও মেরিকম। অবধারিত ভাবে উঠল লন্ডন গেমসে তাঁদের কাছ থেকে পদক-প্রত্যাশার কথা। বেজিং গেমসের সোনাজয়ী অভিনব বলছিলেন, “আজ পর্যন্ত অন্তত ৩০ থেকে ৪০ হাজার বার বন্দুকের ট্রিগার টিপেছি। তাই লন্ডনেও পদক আশা করছি। কিন্তু সোনা জেতাটা অনেকটা লটারি পাওয়ার মতো ব্যাপার।” এর পর যোগ করলেন, “আমি কোনও দিনই ট্যালেন্টেড শুটার নই। তবে পরিশ্রমী। জানি পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। বিশেষ ট্রেনিংও নিচ্ছি। শুধু লন্ডন নয়, ২০১৬ অলিম্পিকেও লড়তে চাই।” নিজের উপর চাপটা ঝেড়ে ফেলে বলছিলেন, “চাপ কেন? বরং মুখিয়ে আছি! বিশ্বের সেরা শুটাররা লন্ডনে থাকবেন। ওঁদের সঙ্গে লাড়াটা তো বড় চ্যালেঞ্জ।” লন্ডন গেমসেই প্রথম মেয়েদের বক্সিং অলিম্পিক ক্রীড়ার তালিকাভুক্ত হয়েছে। উচ্ছ্বসিত মেরিকম বলছিলেন, “প্রচুর মেহনত করছি। লন্ডনে একটা পদকের আশা অবশ্যই করছি তবে সেটা সোনা কি না বলতে পারব না। কারণ আমিও মনে করি সোনা জেতার জন্য ভাগ্য লাগে।” লন্ডনই মণিপুরের মেয়ের প্রথম এবং শেষ অলিম্পিক। “আন্তর্জাতিক বক্সিং ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী ৩২ বছর বয়সের পর কোনও বক্সার আর অপেশাদার থাকতে পারবে না। ২০১৬ গেমসে আমিও আর লড়তে পারব না। তাই লন্ডনে নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই,” বলছিলেন দুই সন্তানের জননী। দিল্লিতে অন্য একটি অনুষ্ঠানে এ বারের রাজীব খেলরত্ন গগন নারং বললেন, “বিন্দ্রা আর আমাকে নিয়ে ভারতের মোট ৮ জন শুটার এখন পর্যন্ত লন্ডনের ছাড়পত্র পেয়েছে। লন্ডন অলিম্পিকে শুট করতে পারব বলে এখন থেকেই প্রচণ্ড উত্তেজনা হচ্ছে। হাতে আর মাত্র ১ বছর সময়। তাই নিজেদের এখন কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত রাখা দরকার।” |
|
|
|
|
|