|
|
|
|
আজ মোহনবাগান দিবস |
শতবর্ষের উৎসবে নতুন রঙ মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ব্রাজিলিয়ান মিডিও হাডসন লিমা সিলভাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সাত সকালেই শহরে চলে এলেন হোসে রামিরেজ ব্যারেটো। বলে দিলেন, “গতবারের তুলনায় টিম ভাল হয়েছে। তবে মাঠে নেমে কতটা ভাল খেলছি সেটাই আসল ব্যাপার। অধিনায়ক হওয়ায় বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ছে। ট্রফি জেতার চেষ্টা করতে হবে।”
লাল-হলুদ তাঁবুতে নতুন মরসুমে প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দিনই কোচ ট্রেভর মর্গ্যান আবার কাঁধ ঝাঁকিয়ে মন্তব্য করেছেন, “মোহনবাগান কোচ স্টিভ ডার্বিকে বহু দিন চিনি। তবে আমাদের প্রায় গতবারের টিমই রয়েছে। এটা বিরাট সুবিধা। কোনও সমস্যা নেই।”
নতুন মরসুমের প্রস্তুতির সলতে পাকানোর কাজ পুরোদমে চলার মধ্যেই আজ শুক্রবার শহর অবশ্য দেখবে ফুটবলের ‘অন্য উৎসব’। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই যা শুরু হয়ে গেছে মোহনবাগান মাঠে। ২৯ জুলাইয়ের বাৎসরিক উৎসব ‘মোহনবাগান দিবস’ এ বার অন্য মাত্রা পেয়েছে ১৯১১-র ঐতিহাসিক শিল্ড জয়ের শতবর্ষ বলে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাচ্ছে বিকেল পাঁচটায় (পূর্বনির্ধারিত সাড়ে পাঁচটায় নয়)। রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে। সেখানে প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ‘মোহনবাগান রত্ন’ তুলে দেওয়া ছাড়াও ‘অর্জুন’ সুনীল ছেত্রী, ধ্যানচাঁদ পুরস্কার পাওয়া সাব্বির আলিকে সংবর্ধনা জানানো হবে। ক্লাবের জীবিত ৩৯ জন অধিনায়কের হাতেও তুলে দেওয়া হবে ‘সম্মান’। প্রবীণ শৈলেন মান্না থেকে ইসফাক আহমেদ-- সবাইকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কর্তারা। |
|
মোহনবাগান তাঁবুতে প্রাক্তন ফুটবলারদের মেলা। বৃহস্পতিবার। -উৎপল সরকার |
তবে সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সম্ভবত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার কোনও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা যাবে তাঁকে। কয়েক সপ্তাহ আগেই ইন্ডোরে রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দফতর আয়োজিত অনুষ্ঠানে যাননি মমতা। সে জন্যই আজ ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে রাজ্যের খেলাধুলার উন্নয়নে কী ‘বার্তা’ দেন মুখ্যমন্ত্রী, তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ময়দান।
এ বারের মোহনবাগান দিবসকে দু’ভাগে দু’দিনে ভাগ করা হয়েছে। স্কুল, অ্যাকাডেমি, ক্রীড়া সাংবাদিক, চিত্রতারকা, প্রাক্তন ফুটবলারদের ম্যাচগুলি প্রতি বছর ‘রত্ন’ প্রদানের দিনই একসঙ্গে হত। এ বার সেটি আলাদা করে আয়োজন হয় বৃহস্পতিবারই। মোট ছ’টি খেলা হল। বিধায়ক অরূপ বিশ্বাসের আগ্রহে উদ্বোধন হল ‘স্বাধীনতার প্রথম আলো’ সিডি। শ্যাম থাপা থেকে বিদেশ বসু, সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও বহু প্রাক্তন ফুটবলার এসেছিলেন মাঠে। আজ ইন্ডোরের অনুষ্ঠানটি মূলত সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে মোহনবাগান সদস্যদের জন্য। প্রতিবারের মতোই সবুজ-মেরুন গেট ও আলোর মালায় ক্লাব তাঁবু সাজানো হলেও বাদ দেওয়া হয়েছে চিংড়ি-সহ খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটি। সাধারণ সমর্থকরা যাতে নিরাশ না হন সে জন্য ক্লাব তাঁবুর লনে বসানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। ইন্ডোরের অনুষ্ঠান শুরুর এক ঘণ্টা আগে শুক্রবার অবশ্য অন্য একটি অনুষ্ঠানও আছে। তবে সেটি মিছিল। অভিনব মিছিলটি শুরু হবে ক্লাব তাঁবুর সামনে থেকে। পুতুলরূপী শিবদাস ভাদুড়ি, অভিলাষ ঘোষরা হাত নাড়বেন ফিটনে চড়ে! একশো বছর আগের শিল্ড জয়ের দিনের মতোই! |
|
|
|
|
|