|
|
|
|
পুরসভার সভাকক্ষে দলীয় বৈঠক, বিতর্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাতে পুরসভার সভাকক্ষে কংগ্রেস-তৃণমূল নেতারা পার্টি-মিটিং করায় বিতর্ক দেখা দিল মেদিনীপুর শহরে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে সিপিএম। সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সীর বক্তব্য, “মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আসলে ওরা দলতন্ত্রকেই প্রাধান্য দেয়। পুরসভার সভাকক্ষে দলীয় বৈঠক হবে কেন তার জবাব পুর-কর্তৃপক্ষকে দিতেই হবে। রাতে ওখানে বৈঠক করার অনুমতিই বা কে দিলেন? বোর্ড-মিটিংয়ে দলীয় কাউন্সিলরেরা এ প্রশ্ন তুলবেন।” পুর-কর্তৃপক্ষ অবশ্য দোষের কিছু দেখছেন না। উপ-পুরপ্রধান কংগ্রেসের এরশাদ আলি বলেন, “শহরে গোলমাল হয়েছিল। দু’দল আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়। সে জন্যই সভাকক্ষে বৈঠক হয়েছে।” এ ক্ষেত্রে উপ-পুরপ্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস-তৃণমূল, দু’দলের নেতারাই। তাঁদের অভিযোগ, সিপিএম এ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করতে চাইছে।
|
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
ছাত্র পরিষদের (সিপি) সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সংঘর্ষে বুধবার দুপুর থেকে উত্তেজনা ছড়ায় শহরে। অভিযোগ, সিপি কর্মীরা মেদিনীপুর কলেজে হামলা চালায়, আর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালায় টিএমসিপি কর্মীরা। সব মিলিয়ে দুপুর থেকেই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। শহরে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়। বিকেলে ধিক্কার মিছিল বের করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। মিছিল থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। সবে দু’মাস হয়েছে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। এর মধ্যেই দু’দলের ‘দূরত্ব’ বাড়তে শুরু করায় শহরেও জোর জল্পনা তৈরি হয়।
তার পরেই সমস্যা সমাধানে দু’দলের জেলা নেতৃত্ব উদ্যোগী হন। ঠিক হয়, রাতে বৈঠক হবে। সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলা হবে। সেই মতো বুধবার রাতে পুরসভার সভাকক্ষেই বৈঠক হয়। মেদিনীপুর পুরসভা কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের দখলে রয়েছে। ফলে সভাকক্ষে বৈঠক করার অনুমতি পেতে সমস্যা হয়নি। কিন্তু দু’দলের জেলা নেতারা কেন এখানে বৈঠক করবেন, তা নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়। পুরসভার সভাকক্ষে এমন বৈঠক হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন ওঠে। সিপিএম সরব হয়। কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌমেন খান, শান্তি দত্ত প্রমুখ। তৃণমূলের তরফে প্রদ্যোৎ ঘোষ, সুকুমার পড়্যা’রা। ‘দলতন্ত্রের’ অভিযোগ উড়িয়ে শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেনবাবু বলেন, “উপ-পুরপ্রধানের অনুমতি নিয়েই বৈঠক হয়েছে। শহরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই তো এই বৈঠক। এ ক্ষেত্রে বিতর্কের কিছু নেই।” একই দাবি জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎবাবুর। তাঁর কথায়, “অযথা এ নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে।” সিপিএম অবশ্য জানিয়েছে, কেন দু’দলকে রাতে পুরসভার সভাকক্ষে পার্টি-মিটিং করার অনুমতি দেওয়া হল তার জবাব পুর-কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। দলের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক কীর্তিবাবু বলেন, “শহরবাসী সব দেখছেন। দলতন্ত্র রয়েছে বলেই পুরসভার সভাকক্ষে দলীয় বৈঠক হয়েছে।” |
|
|
|
|
|