|
|
|
|
খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতি |
অচলাবস্থা কাটাতে দাওয়াই প্রশাসনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
অবশেষে অচলাবস্থা কাটার পরিস্থিতি তৈরি হল খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে।
সভাপতি কালীশঙ্কর চক্রবর্তী-সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে ১৪ মে (বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর দিন) থেকে দফতরে আসা বন্ধ করেছিলেন। ফলে, উন্নয়ন এবং নিয়মিত কাজকর্ম সবই থমকে পড়ে এই এলাকায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগীর ব্যবস্থাপনায় গত সোমবার থেকে ব্লক অফিস চত্বরের কোয়ার্টারেই থাকছেন। সেখান থেকেই কাজ শুরু করেছেন। সদস্যদের সকলে এখনও আসা শুরু না করলেও কাজের গতি বেড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালীশঙ্করবাবু এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, ১৩ মে ভোটের ফল প্রকাশের রাতেই তাঁকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে তৃণমূলের লোকজন। রাস্তায় বেরোলেই তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন কালীশঙ্করবাবু। নিজেরাই যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সেখানে তাঁরা এলাকার লোকের উন্নয়ন করবেন কি করে, সে প্রশ্ন তোলেন সভাপতি। এই যুক্তিতেই দফতরে আসা বন্ধ করেন সকলে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানান সভাপতি।
এই পরিস্থিতি অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল কাজকর্মে। একশো দিনের কাজ ছাড়া বস্তুত কোনও কাজই হচ্ছিল না। আবার যেহেতু সভাপতি ছুটি নেননি, বা পদত্যাগও করেননি, ফলে প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপও করতে পারছিল না। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানান মহকুমাশাসক। তিনি জানান, সভাপতি তাঁর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। জেলা পুলিশের কাছে সে বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। আপাতত তিনি পঞ্চায়েত সমিতির কোয়ার্টার থেকেই কাজকর্ম করবেন।”
কালীশঙ্করবাবু বলেন, “পথেঘাটে বেরোতে সাহস পাচ্ছিলাম না। এখনও নতিবপুরে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারিনি। এই অবস্থায় সরকারি কোয়ার্টারে থেকে কিছুটা ভরসা পাচ্ছি। কাজও শুরু করেছি। তবে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, কয়েক দিন গেলে বুঝতে পারব।” তৃণমূল নেতৃত্ব আগেও জানিয়েছিলেন, কোনও রকম হুমকি কাউকে দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সদস্যেরা নিজেরা একাধিক দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন। ফলে, নিজেরাই কাজে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন। তবে তাঁরা যে ফের কাজ শুরু করেছেন, তাতে সন্তুষ্ট তৃণমূল। তাঁদের দিক থেকে কাজে বাধা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না বলেও দাবি করছেন দলের নেতারা। |
|
|
|
|
|