|
|
|
|
নেত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ |
সিপিএম নেতাকে মারধর খানাকুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ ও চুঁচুড়া |
সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক-সহ দু’জনকে বেদম পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের এক মহিলা নেত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের রাজহাটি গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় রাজহাটি গ্রামে খানাকুল দক্ষিণ লোকাল কমিটির অফিসে বসেছিলেন কমিটির সম্পাদক অশোক পাড়ুই, দলের কর্মী নেপাল খা।ঁ হঠাৎই তৃণমূলের জনা পনেরো ছেলে হইহই করে ঢুকে পড়ে অফিসে। অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় শুরু হয় মারধর। এলাকায় সিপিএমের পার্টি অফিস খোলা যাবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। পার্টি অফিসে ভাঙচুরও করা হয়। খানিক ক্ষণ ‘অপারেশন’ চালিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। অশোকবাবুর বাড়ি পার্টি অফিসের পাশেই। চিৎকার-চেঁচামিচির শব্দ পেয়ে ছুটে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী শুভ্রাদেবী। তিনি খানাকুল কেন্দ্রে এ বার সিপিএমের হয়ে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী ছিলেন। শুভ্রাদেবী পেশায় স্কুল শিক্ষিকা (অশোকবাবুও স্কুলে পড়ান)। শুভ্রাদেবী বলেন, “স্বামীর চিৎকার শুনে ছুটে আসি। দেখি, তৃণমূলের এক দল ছেলে ওঁদের মাটিতে ফেলে লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারে। জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়।”
ঘটনার খবর টেলিফোনে জানানো হয় আরামবাগের সাংসদ শক্তিমোহন মালিককে। তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ এসে দুই প্রহৃত নেতাকে পাঠায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের। অশোকবাবুর মাথা ফেটেছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দোষীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দলের নেতা শৈলেন সিংহ বলেন, “আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত আছে কিনা, খতিয়ে দেখছি। কেউ যদি উচ্ছ্বৃঙ্খলতা করে থাকে, তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|