প্রয়াত কাজুও আজুমা
বিশ্বভারতীই ছিল তাঁর প্রাণে
দতে তিনি জাপানবাসী। অথচ তাঁর হৃদয়ে আজীবন ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আপামর বাঙালির মতোই।
‘আমি বাংলা ও বাঙালিদের ভক্ত।’বছর চারেক আগে কলকাতায় ভারত-জাপান সংস্কৃতি কেন্দ্রে’র উদ্বোধন (রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন) অনুষ্ঠানে এসে পরিষ্কার বাংলায় এই কথাই বলেছিলেন তিনি। তখন তিনি ৭৬। আর ৮০ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮ দিন আগেই প্রয়াত হলেন রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ কাজুও আজুমা। বৃহস্পতিবার সকালে জাপানের ইচিকাওয়া শহরের এক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতী’র সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। ১৯৬৭-১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতীর জাপানী বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। বিশ্বভারতী দেশিকোত্তম উপাধিতে সম্মানিত করেছে তাঁকে। বিশ্বভারতীর সদ্য অবসরপ্রাপ্ত উপাচার্য রজতকান্ত রায়ের কথায় তিনি ছিলেন, “গুরুদেবের ভক্ত এবং একনিষ্ঠ আশ্রমিক।” ১৯৯৪ সালে তাঁরই উদ্যোগে বিশ্বভারতীতে গড়ে ওঠে নিপ্পন ভবন। বিশিষ্ট চিত্রকর যোগেন চৌধুরী বলেন, “রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছে ছিল শান্তিনিকেতনে একটি নিপ্পন ভবন গড়ে তোলার। সেই ইচ্ছে পূর্ণ করেন কাজুও আজুমা।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বভারতীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কখনওই ছিন্ন হয়নি। ঝরঝরে বাংলায় লেখা তাঁর চিঠি নিয়মিত শান্তিনিকেতনে তাঁর ঘনিষ্ঠ জনদের কাছে পৌঁছত” যোগেন চৌধুরী’র কথায়,“বিশ্বভারতী থেকে কেউ জাপানে গেলে তিনি সাদরে তাঁদের আপ্যায়ণ করতেন। জাপানে তাঁর নিজের বাড়িতে রবীন্দ্র বিষয়ক একটি লাইব্রেরি ছিল।” সেই সমস্ত বইই অবশ্য বছর দেড়েক আগে তিনি পাঠিয়ে দেন বিশ্বভারতীতে। রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কাজুও আজুমা রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত নানা ভাষার দু’হাজার গ্রন্থ রবীন্দ্রভবনে পাঠিয়েছেন। শীঘ্রই তাঁর নামে রবীন্দ্রভবনে একটি গ্রন্থাগার করা হবে।”
Previous Item Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.