|
|
|
|
নিরাপত্তার দাবি |
বাড়িতে ফিরতে চান মুক্ত ডাবলু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
কিছু দিন আগেও যে সিপিএম নেতার দাপটে মঙ্গলকোটে বিরোধীরা তটস্থ থাকত, নিজের বাড়িতে ফিরতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হল সেই ডাবলু আনসারিকেই।
গত ৬ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান ডাবলু। খুন-সহ একাধিক অভিযোগে গত ১৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর হোয়াইট ফিল্ড স্টেশনের কাছে একটি লজ থেকে পুলিশ তাঁকে ধরে এনেছিল। আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর পরে কাটোয়া মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম তাঁকে উপপ্রধানের পদ থেকে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করেন। আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেয়ে আপাতত তিনি মুর্শিদাবাদে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন। কারণ, মূলত ‘নিরাপত্তার অভাব’।
বৃহস্পতিবার কাটোয়া আদালতে হাজিরা দিতে এসে মহকুমাশাসক এবং এসডিপিও-কে ডাবলু লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মঙ্গলকোট গ্রামের বাড়িতে ফিরতে চান। কিন্তু নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় ফিরতে পারছেন না। তাঁর ধারণা, তিনি ফেরার চেষ্টা করলে নতুন করে অশান্তি বাধতে পারে। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ডাবলু বলেন, “আমি গ্রামে ঢুকলেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অশান্তি পাকাবে। নতুন করে আর ঝামেলায় জড়াতে চাই না। তাই প্রশাসনের কাছে এসেছি।”
ডাবলুর স্ত্রী এবং বছর এগারোর এক মাত্র মেয়ে অবশ্য গ্রামের বাড়িতেই রয়েছেন। ডাবলু বলেন, “ফোনে ওদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। কিন্তু বাড়ি ফিরতে না পারায় দেখা হয়নি।” তাঁর দাবি, ওই পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামের অন্তত দেড়শো মানুষ গ্রামছাড়া রয়েছেন। তাঁদেরও গ্রামে ফেরানোর দাবি জানানো হয়েছে। সিপিএমের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক দুর্যোধন সর বলেন, “কিছু দুষ্কৃতীর দাপাদাপির কারণে উনি ঘরে ফিরতে পারছেন না। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
তৃণমূলের মঙ্গলকোট ব্লক কোর কমিটির নেতা লিয়াকত আলি অবশ্য পাল্টা বলেন, “ডাবলু নিজেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছেন। এখন নিজের ছায়াকেও উনি বিশ্বাস করতে পারছেন না।” এসডিপিও (কাটোয়া) জ্যোতির্ময় রায় বলেন, “জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে উনি নিজের বাড়িতে ফিরবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আমরা বিষয়টি দেখছি।” |
|
|
|
|
|