|
|
|
|
ভোট ‘অবৈধ’ |
পদত্যাগের ইচ্ছা ক্রীড়া কর্তাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
জেলাশাসক তাঁদের নির্বাচন ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করায় পদত্যাগ করতে চাইলেন বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থার ১৬ জন পদাধিকারী। জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা অবশ্য তাঁদের পদত্যাগপত্র নেননি। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “সংস্থার সভাপতি হিসেবে আমি পদত্যাগপত্র নিতে পারব না। তার জন্য পরিচালনমণ্ডলীর বিশেষ সভা ডাকতে হবে। এর মধ্যে জেলার কোনও খেলাধুলো বন্ধ করানো যাবে না।”
গত রবিবার রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বর্ধমানে এসে শোনেন, অবৈধ ভাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটির নির্বাচন হয়েছে। সেখানে সংস্থার সভাপতি হিসেবে জেলাশাসকের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। নিয়মানুযায়ী, গোপন ব্যালটে ভোটের বদলে হাত তুলে বিভিন্ন পদাধিকারীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। জেলাশাসক তখনই বলেন, “নির্বাচনে স্বচ্ছতা না থাকায় আমি সভাপতি হিসেবে ওই কমিটিকে অনুমোদন দিইনি।” এর পরেই ক্রীড়ামন্ত্রী জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে নিষ্ক্রিয় করে দেন। আপাতত জেলাশাসককে নেতৃত্বে কোর কমিটি গড়ে পাঁচ মহকুমার খেলাধুলো চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ পদাধিকারীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীরদাস মণ্ডলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বুধবার পীরদাসবাবু জেলাশাসকের কাছে সেগুলি এবং নিজেরও পদত্যাগপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জেলাশাসক তা নেননি। উল্টে সর্বত্র খেলাধুলো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পাদকের বক্তব্য, “ক্লাবগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত ফুটবল লিগ ও নকআউট প্রতিযোগিতাগুলিও বন্ধ রাখা হচ্ছে। জেলাশাসকের মন্তব্যে সমস্ত নির্বাচিত পদাধিকারীই ক্ষুব্ধ ও অপমানিত বোধ করেছেন। ‘অবৈধ’ কমিটির পক্ষে কোনও স্তরের খেলাধুলো চালানো সম্ভব নয়।”
গত সোমবারই বর্ধমানের রাধারানি স্টেডিয়ামে ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব দফতরের সামনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্রিকেট, ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্সের সমস্ত কোচিং ক্যাম্প আপাতত বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন পীরদাসবাবুরা। এ দিন পীরদাসবাবু বলেন, “জেলাশাসক খেলাধুলো চালিয়ে যেতে বলেছেন। আমি পদত্যাগী পদাধিকারীদের তা জানাব। কিন্তু কেউ যদি তার পরেও মাঠে আসতে না চান, আমার পক্ষে খেলাধুলো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতি নিয়ে ফের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।” |
|
|
|
|
|