|
|
|
|
১০০-য় পুলিশ পেতে পারে শূন্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
২০০৫ সালের ১৪ জুন রাত।
ডাকাত পড়েছে ব্যাঙ্ককর্মী প্রবাল মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। ১০০ ডায়ালে চুপিচুপি ফোন করে তাঁর ১০ বছরের ছেলে। আসে পুলিশ। পাকড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। শহরবাসীর সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা বলছে, সেই ‘সুদিন’ নেই।
কলকাতার উল্টোডাঙায় আবাসনে ডাকাতির পরে ১০০-য় ফোন করে কোনও জবাব মেলেনি। দুর্গাপুরের বাসিন্দাদেরও একই অভিযোগ। ডায়াল করলে কখনও লাইন ব্যস্ত, কখনও বা বেজেই চলে ফোন। দুর্গাপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভঙ্কর সিংহ সরকারের অবশ্য দাবি, “এমন তো হওয়ার কথা নয়।”
১০০ ডায়াল পরিষেবা দুর্গাপুরে চালু হয় ১৯৯৪ সালে। গোড়ায় এই নতুন পরিষেবার জন্য বিশেষ বাহিনীও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, বাইরে থেকে আসা সেই পুলিশকর্মীরা এলাকা ভাল চেনেন না। ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে তাঁরা পৌঁছতে পারছেন না। ব্যর্থ হচ্ছে পরিষেবা চালুর আসল উদ্দেশ্য। তখন স্থানীয় থানার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় এই পরিষেবাকে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পুলিশকর্মী না থাকা, গাড়ির জ্বালানি তেলের অপ্রতুল সরবরাহ, এ সব নানা টালবাহানায় টহলদারি কমে যায়।
২০০৪ সালের শেষে নতুন মোড়কে ফের ১০০ ডায়াল চালুর উদ্যোগ হয়। কেনা হয় তিনটি জিপ। দুর্গাপুর থানা এলাকায় দু’টি এবং কোকওভেন ও নিউটাউনশিপ থানা এলাকায় একটি জিপ টহল শুরু করে। এক-এক গাড়িতে এক জন অফিসার ও তিন কনস্টেবল। কিন্তু তা-ও বেশি দিন টেকেনি।
সিটি সেন্টারের প্রসূন রায়, সমাপ্তি মণ্ডলদের খেদ, “১০০ ডায়ালের লাইন মেলে না। সোজা থানায় ফোন করা ভাল।” এ-জোনের বাসিন্দা রণজিৎ মুখোপাধ্যায়, বুলু কর্মকার বলেন, “হয় এনগেজড টোন, নয় টানা রিং হয়ে যায়।” বি-জোনের শরৎচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের অরুণিমা গঙ্গোপাধ্যায়, দীনেশ সাউয়ের অভিজ্ঞতা, “চোখের সামনে দেখছি, ১০০ ডায়ালের গাড়ি টহল দিচ্ছে। অথচ ফোন যাচ্ছে না!”
পুলিশের অবশ্য দাবি, প্রযুক্তিগত কারণে সাময়িক সমস্যা হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ফোনও আসে প্রচুর। কয়েকটি নম্বর থেকে ফোন করে ১০০ ডায়াল ‘ব্যস্ত’ করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। সেই সব নম্বরের মালিকদের খোঁজা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “১০০ ডায়াল সামান্য যা সমস্যা আছে, দ্রুত মেটানো হবে।”
চোর-ডাকাতেরা ততটা সময় দেবে তো? |
|
|
|
|
|