|
|
|
|
বহুতলে নজর বাড়াতে বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
কেউ দেখে শেখে, কেউ ঠেকে।
কলকাতা আপাতত ঠেকে শিখেছে। আর আসানসোল?
বহুতল মানেই চার রকম লোকের বাস, দশ রকম লোকের আনাগোনা। কোনও বহুতলে যদি বা শুধুই বসতবাড়ি, বহু ক্ষেত্রেই এক চৌহদ্দির মধ্যে দোকান, অফিস, ব্যাঙ্ক। অচেনা মানুষের ভিড়ে নিরাপত্তাও ঢিলেঢালা।
কলকাতায় উল্টোডাঙার আবাসনে ডাকাতি ও বৃদ্ধা খুনের পরে সেই নিরাপত্তার প্রশ্নই ফের সামনে চলে এসেছে। প্রোমোটার সংগঠন ও পুলিশকে নিয়ে দ্রুত বৈঠক করতে চলেছেন আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। কম বেশি ১৭০০ বহুতল শহরে। বেশ কয়েকটিতেই রয়েছে ছোটখাট বেসরকারি সংস্থার অফিস ও দোকানপাট। কিন্তু এই বহুতলগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পুরসভা বা মহকুমা প্রশাসনের কাছে কোনও তথ্যই নেই। তাপসবাবু বলেন, “উল্টোডাঙার ঘটনার পরেই আমরা ঠিক করেছি, বহুতলগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।”
বহুতলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকাও পুরসভা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। বৈঠকে তা নিয়েও কথা হবে। যেমন, যে সব বহুতলে বাণিজ্যকেন্দ্র ও ব্যক্তিগত আবাসন এক সঙ্গে আছে, সেখানে আলাদা আলাদা প্রবেশদ্বার করতে হবে। ব্যক্তিগত আবাসনের বহুতলে রাখতে হবে চব্বিশ ঘণ্টার নিরাপত্তা কর্মী। বহিরাগত কোনও ব্যক্তি কোন ঘরে যাচ্ছেন, কার সঙ্গে তিনি দেখা করতে চান, নিরাপত্তা কর্মীর খাতায় তা তাঁকে পরিষ্কার করে লিখে যেতে হবে। বহিরাগতেরা যাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন, প্রয়োজনে আগেই তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে নিতে হবে নিরাপত্তা কর্মীকে। সব ক’টি বহুতলেই লাগাতে হবে একাধিক সিসি টিভি। বাড়াতে হবে নজরদারি।
আসানসোল রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা শচীন্দ্রনাথ রায় জানান, প্রতি আবাসনে চব্বিশ ঘণ্টার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন রেখেছেন। কিন্তু কোথাও কোথাও বহিরাগতদের যাতায়াতের নথি নিয়মিত ভাবে রাখা হচ্ছে না। শচীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “প্রতি বহুতলে সিসি টিভি লাগাতে পুরসভার নির্দেশ আমরা মেনে চলব।” আসানসোলের ডিএসপি (সদর) চন্দ্রশেখর বর্ধন জানিয়েছেন, মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরাও কিছু পরামর্শ দেবেন।
কলকাতার দেখে আসানসোল শেখে কি না, চোখ ফুটতে ক’দিন লাগে, তা বলবে সময়। |
|
|
|
|
|