ইন্টার্নদের কর্মবিরতি, দিনভর হয়রানি হোমিও হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সল্টলেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির অধিকর্তা মঙ্গলবারেই ইস্তফা দিয়েছেন। আর হাউসস্টাফশিপ চালু করা এবং ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বুধবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন সেখানকার ইন্টার্নরা। ফলে চিকিৎসকের অভাবে বুধবার বহির্বিভাগে আসা রোগী ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চূড়ান্ত ভোগান্তি হয়। ইন্টার্নদের দাবির সমর্থনে ছাত্রছাত্রীরাও অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস বয়কট করেন।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী ওই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসেন। বহির্বিভাগের মূল কাজ ইন্টার্নরাই সামলান। তাই তাঁদের কর্মবিরতিতে সব চেয়ে সব চেয়ে সমস্যা হয় ওই বিভাগেই। অসুস্থ শরীরে দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রোগীদের। রায়দিঘি থেকে আসা রবিউল শেখ বলেন, “সকাল ৭টায় হাসপাতালে এসেছিলাম হাড়ের ডাক্তার দেখাতে। এসে শুনি, ডাক্তারেরা নাকি কাজ করবেন না। প্রায় তিন ঘণ্টা লাইন দিয়ে শেষ পর্যন্ত ডাক্তার দেখাতে পেরেছি।” |
|
চলছে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি। রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। সল্টলেকের হোমিও হাসপাতালে। ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ |
হাসপাতালের শয্যা-সংখ্যা ২০০। এখন ভর্তি আছেন ১৫০ জন। ইন্টার্নের অভাবে বহির্বিভাগ ও ভর্তি থাকা রোগীদের দেখতে হচ্ছে অবশিষ্ট চিকিৎসকদেরই।
প্রশ্ন উঠেছে, ভর্তি হওয়ার আগেই তো তাঁরা জানতেন ওই হাসপাতালে হাউসস্টাফশিপ নেই। তা হলে এখন আন্দোলন কেন? ইন্টার্নদের বক্তব্য, ‘‘ভর্তির আগে আমরা ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। এখন দেখছি, হাউসস্টাফ হিসেবে কাজ না-করলে ডাক্তার হয়েও স্বীকৃতি পাব না। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি বোঝা উচিত। নইলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
অধিকর্তা ইস্তফা দেওয়ায় জটিলতা বেড়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক তথা প্রাক্তন অধিকর্তা সঞ্জয় ঘোষমণ্ডলের কথায়, “বিষয়টি দিল্লিতে হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার শাখা আয়ুষ-কে জানানো হয়েছে।” |
|