|
|
|
|
প্রসূতির মৃত্যু, গাফিলতির অভিযোগ মানবাজারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
এক প্রসূতির মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বুধবার মৃতার পরিবার এই মর্মে মানবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মধুমিতা বাউরি (২১) নামে ওই বধূ মঙ্গলবার সকালে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। বুধবার ভোরে মধুমিতার মৃত্যু হয়। তাঁর স্বামী, মানবাজার থানার কাসুডি গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব বাউরি বলেন, “আমার স্ত্রীর কোনও অসুখ ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই মঙ্গলবার দুপুরে পুত্রের জন্ম দেয়। তার স্বাস্থ্যও ভাল ছিল।” তাঁর অভিযোগ, “চিকিৎসক ও নার্সরা প্রসবের সময় স্ত্রীর দেখভাল করেননি। অবহেলাতেই ওর মৃত্যু হয়েছে।” কাসুডির বাসিন্দা, জয়দেববাবুর আত্মীয় চিত্ত বাউরির ক্ষোভ, “আমরা জানতে চেয়েছিলাম, কী কারণে মধুমিতার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আমরা কোনও চিকিৎসকের দেখা পাইনি। নার্সরাও আমাদের প্রশ্নের জবাব দেননি।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে বাসুডি ও মানপুর গ্রামের কিছু বাসিন্দা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। মধুমিতার দিদিমা, বাঁকুড়ার খাতড়ার বাসিন্দা মনজুড়া দেবীর কথায়, “মঙ্গলবার বিকেলে দেখি, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে মধুমিতার। কোনও ডাক্তারকে পাইনি। নার্সরাও আসেননি। শুধু দুটো ট্যাবলেট দিয়ে খাওয়াতে বললেন। রাতে বাড়াবাড়ি দেখে ডাক্তারকে ডেকেও পাইনি। সারারাত মেয়েটা যন্ত্রণায় ছটফট করেছে। ভোরে ও ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়ল।” মানবাজার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিংহ হাঁসদা বলেন, “প্রশিক্ষণের জন্য পুরুলিয়ায় রয়েছি। ঠিক কী হয়েছে, গিয়ে খোঁজ নেব।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিশিকান্ত হালদার জানান, তদন্তে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে চিকিৎসকের অধীনে মধুমিতা ভর্তি ছিলেন, তাঁর দাবি, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আমার ডিউটি ছিল। ওই প্রসূতির যে অবস্থা খারাপ, রোগীর আত্মীয় বা অন্য কেউ তা জানাননি।” |
|
|
|
|
|