রাস্তায় প্রহৃত অশোকের ভাইপো
প্রাইভেট টিউশনে যাতায়াতের পথে ছাত্রদের একাংশ ইদানীং হামলার মুখে পড়ছে বলে এক দল অভিভাবকের মধ্যে অসন্তোষ ছিলই। তবে তা নিয়ে হইচই হয়নি। কিন্তু বুধবার টিউশন থেকে ফেরার পথে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের ভাইপো অর্কপ্রভকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় শহরে ক্ষোভ তুঙ্গে। একাদশের ছাত্র অর্ককে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শিলিগুড়ির দুধ মোড় সংলগ্ন এলাকায় রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছে বাইকে চড়ে আসা আর এক ছাত্র। অর্কের চেঁচামেচিতে পথচারী, স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে বাধা দিলে অভিযুক্ত ছাত্র সরে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানান, অভিযুক্ত ছাত্রটি ‘এখন তোর জেঠুদের সরকার নেই, কে কী করবে দেখে নেব’ বলে শাসিয়েও যায়।
এই খবরে পুলিশ তদন্তে নামলেও অভিযুক্ত তরুণও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চাননি প্রাক্তন পুরমন্ত্রী। পুরমন্ত্রী বলেছেন, “যে মারধর করেছে সেও ছাত্র। আমি চাই না মামলায় জনিয়ে ছেলেটির ভবিষ্যৎ নষ্ট হোক। আশা করব বাড়ির লোকজন ওকে বোঝাবে। ছেলেটি অনেক দিন ধরেই বুড়োকে (অর্কপ্রভের ডাক নাম) হুমকি দিচ্ছে। কয়েক বার পুলিশের তরফে ছেলেটির বাড়ির লোকজনকে বোঝানো হয়েছে। এতে রাজনীতি জড়ানো ঠিক নয়।”
পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের একটি নামী স্কুলের ছাত্র অর্কপ্রভর সঙ্গে অভিযুক্তের ফেব্রুয়ারি মাসে এক বার গোলমাল হয়েছিল। সে সময় পুলিশি হস্তক্ষেপে তা মিটেও যায়। তার পরে রাজ্যে সরকার বদল হয়। অশোকবাবু ভোটে হেরে যান। অর্কের বাড়ির লোকজনদের অনেকেরই অভিযোগ, তার পর ফোনে অর্ককে হুমকি দেওয়া হতে থাকে। পরিবারের এক সদস্যের অভিযোগ, “অর্ক ফেব্রুয়ারিতে তাকে মারধর করেছে বলে জানিয়ে, এ জন্য বদলা নেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হতে থাকে। পুলিশকে জানানো হলে নম্বর খুঁজে অভিযুক্তকে সতর্ক করা হয়। তা-ও পরিস্থিতি যে পাল্টায়নি, তা এ দিন বোঝা গিয়েছে।”
পুলিশের এক অফিসার জানান, অভিযুক্ত ছাত্রকে ডেকে ফের সতর্ক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে ও প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর বাড়ির লোকজন ছেলেটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে অভিযুক্তের নাম সংবাদ মাধ্যমে জানাতে রাজি হননি। তবে যত দ্রুত সম্ভব শিলিগুড়ি শহরের যে সব এলাকায় ছাত্রদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠছে, সে সব এলাকায় বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে গ্রেফতার। পণের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে বিদ্যুৎ পর্ষদের এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে হেমতাবাদ থানার সমসপুর এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সইফুর রহমান। ওই এলাকাতেই বাড়ি। তিনি ইটাহারের বিদ্যুৎ পর্ষদের দফতরে চাকরি করেন। পণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী মোস্তারিনা বেগমের উপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ওই গৃহবধূ স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.