|
|
|
|
রাজস্ব মেটানোর নির্দেশ |
উন্নয়নের জন্য ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার ডাক গুরুঙ্গের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি |
আগামী দিনে পাহাড়ের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে বাসিন্দাদের ‘ত্যাগ স্বীকার’-এর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। পাশাপাশি, তিনি ১ অগষ্ট থেকে বিদ্যুৎ বিল-সহ সমস্ত রাজস্ব দেওয়ার জন্য পাহাড়বাসীকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “অগষ্ট মাস থেকে কেউ রাজস্ব না দিলে তার দায় মোর্চা নেবে না।”
বুধবার দার্জিলিংয়ের জিমখানা হলে দলের ‘শহিদ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী দু’বছর পাহাড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইবে। শহরের রাস্তা বড় করা হবে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য জায়গার প্রয়োজন হবে। অনেকের বাড়ি, দোকানের অংশ ভাঙা পড়তে পারে। আশা করি কেউ বিরোধিতা করবেন না। ‘ত্যাগ স্বীকার’ করতে হবে। না হলে আইনের পথে যেতে হবে আমাদের। সবাইকে মনে রাখতে হবে ‘মমতা দিদি’ (মুখ্যমন্ত্রী) দার্জিলিংকে সুইৎজারল্যাণ্ড বানাতে চেয়েছেন, সেটা পূরণ করতে হবে।” যারা বেআইনি ভাবে সরকারি জায়গা দখল করে আছেন, তাঁদের সরে যেতে পরামর্শ দেন বিমল। দখলদারেরা সরে গেলে পুনর্বাসনের কথা ভাবা হবে বলেও মোর্চা সভাপতি জানিয়ে দেন। তবে কেউ স্বেচ্ছায় না সরলে বেআইনি নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে তা ভেঙে দেওয়া হবে বলেও গুরুঙ্গ জানিয়ে দেন।
গুরুঙ্গ জানান, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ জোরকদমে শুরু হবে। দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ থেকে ৩ কোটি টাকা করে পাহাড়ের তিনটি মহকুমা ও মিরিকের জন্য বরাদ্দ করবে। পাহাড়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মোটর স্ট্যাণ্ড বানানোর আশ্বাস দেন তিনি। ইতিমধ্যেই গরুবাথানে কলেজ তৈরির জন্য মোর্চার তহবিল থেকে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়টা হয়েছে। গরুবাথানে ও পেডংয়ে কলেজ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য দার্জিলিংয়ের সাংসদ যশোবন্ত সিংহ ১ কোটি টাকা দেবেন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, “পার্বত্য পরিষদের মাধ্যমেই এখন উন্নয়নের কাজ করা হবে। গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ছয় মাসের মধ্যে কাজ শুরু করবে। ওই কাজের জন্য পার্বত্য পরিষদের সমস্ত অস্থায়ী কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।”
পাশাপাশি তিনি পাহাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “আগামী ছ’মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের উন্নয়ন করা হবে। এই কয়েক মাসে অনেক কিছু হতে পারে। ভাল হতে পারে। এগোনোর কাজে বাধা পেলে খারাপ ঘটনাও ঘটতে পারে।”
এ দিন সকাল থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিকে ‘শহিদ দিবস’ পালনে নানা অনুষ্ঠান করা হয় মোর্চার তরফে। জিএনএলএফের তরফেও নকশালবাড়িতে অনুষ্ঠান করা হয়। দার্জিলিং চৌরাস্তায় সকালে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ, সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি-সহ নেতৃত্ব শহিদ বেদিতে ফুল দেন। শহিদ পরিবারদের সম্মান জানানো হয়। দুপুরে শহরের জিমখানা হলে সভা করে মোর্চা। সন্ধ্যায় ‘শহিদ’দের স্মরণে ১২০৬টি মোমবাতি জ্বালানো হয়। শিপচুতেও ‘শহিদ দিবস’ পালন করা হয়। সেখানে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিনয় তামাং এবং রামবাহাদুর ভুজেল উপস্থিত ছিলেন। মোর্চা সভাপতি শহিদ পরিবারের বেকারদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। |
|
|
|
|
|