|
|
|
|
প্রণব-পুত্রের ইস্তফা |
‘জটিলতা’ এড়াতে প্রদীপ মমতাকে চিঠি দেবেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ পরিকাঠামো উন্নয়ন বিত্ত নিগমের (ডব্লিউবিআইডিএফসি) চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা নিয়ে যে ‘জটিলতা’ তৈরি হয়েছিল, তা আগামী দিনে এড়াতে চাইছে কংগ্রেস। নিযুক্ত হওয়ার দু’মাসের মধ্যেই ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎবাবু। কংগ্রেস চাইছে, ভবিষ্যতে দলের কাউকে কোনও সরকারি পদে বসানোর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন তা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে নেন। এ বিষয়ে ‘অনুরোধ’ জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রীকে চিঠি লিখছেন।
এআইসিসি সূত্রের খবর, দলের মধ্যে আলোচনার পরেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের অনেক নেতারই মত ছিল, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা না করেই অভিজিৎবাবুকে মুখ্যমন্ত্রী নিগমের চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করেন। সাধারণত এ বিষয়ে শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়াটাই রীতি। মন্ত্রিসভায় বা বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পদে কংগ্রেসের কোন বিধায়ক যোগ দেবেন, তা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন। রাজ্য সরকারের তরফে শরিক দলের কাছে শুধু নির্দিষ্ট পদটি নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া যেতে পারে। কোনও পছন্দের নাম থাকলে তা-ও জানানো যেতে পারে। কিন্তু তা নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হওয়া জরুরি। ঠিক যে ভাবে কেন্দ্রে তৃণমূলের কে কে মন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে কংগ্রেস নাক গলায় না। এই বিষয়টিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ‘বিনীত ভাবে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন। রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের কাছ থেকে এআইসিসি-তে নিয়মিত এমন অভিযোগও আসছে যে, কিছু কিছু এলাকায় তৃণমূলের তরফে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় দখল করার চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতে অভিজিৎবাবু নিগমের চেয়ারম্যান পদে থাকলে ভুল বার্তা যেত বলেই দলের তরফে তাঁকে ইস্তফার
পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে আগামী দিনে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে দলীয় সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাববে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ বলেন, “উনি আমাদের দলের সম্ভাবনাময়, নবীন প্রজন্মের নেতা এবং যথেষ্ট যোগ্য। ভবিষ্যতে যখন এ বিষয়ে আলোচনা হবে, তখন অবশ্যই তাঁর নাম বিবেচিত হবে।” |
|
|
|
|
|