টুকরো খবর

তোলাবাজি করতে গিয়ে জনতার মারে গুরুতর জখম হয়েছে এক দুষ্কৃতী। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিও চালাতে হয় পুলিশকে। বুধবার দুপুরে, আগরপাড়ার উষুমপুরের ঘটনা। পুলিশ জানায়, বুধবার ভোরে পানিহাটির আজাদ হিন্দ নগরের বাসিন্দা, মাছ ব্যবসায়ী পিন্টু সরকার প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে দমদম যাচ্ছিলেন মাছ কিনতে। মিনি ট্রাকে করে যাওয়ার সময়ে তাঁকে তাড়া করে ছোটন সাহা, অজয় ও বিজয় বসু নামে তিন তোলাবাজ। পিন্টুবাবুর অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে তাড়া করেছিল। কোনও রকমে পালিয়ে যান তিনি। পরে বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। এর পরে সকাল ১১টা নাগাদ উষুমপুর বাজারে চড়াও হয় ওই তিন দুষ্কৃতী। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায়ের চেষ্টা করতেই তাঁরা তিন দুষ্কৃতীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ছোটন ও বিজয় পালালেও ধরা পড়ে অজয়। মারধর করা হয় তাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় সম্প্রতি তোলাবাজি বাড়লেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী এ দিনের ঘটনার পরেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ উষুমপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের। পরিস্থিতি সামলাতে উত্তেজিত জনতার দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে এলাকায় তোলাবাজি বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, “পুলিশকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তা না হলে সাধারণ মানুষ ভয় পেয়ে চুপ করে বসে থাকবেন না।”

বারাসতের ময়নায় কয়েকটি যাযাবর পরিবারে পরপর শিশু-মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে। যাযাবর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি জুলুমের ফলে তাদের অনেকেই রোজগার করতে পারছেন না। তার ফলে খেতে না-পেয়ে তাঁদের শিশুরা মারা যাচ্ছে। পুলিশ জানায়, কয়েকটি যাযাবর পরিবার কিছু দিন ধরে বারাসতের ময়নায় তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছে। ওই সব পরিবারের ছ’জন পুরুষ কয়েক দিন আগে এলাকায় সোনার দোকানে গয়না বেচতে যান। স্থানীয় দোকানিদের সন্দেহ হয়, ওগুলো চোরাই গয়না। তাঁরা পুলিশকে সব জানান। পুলিশ ছয় যাযাবরকে গ্রেফতার করে। আদালত ছ’জনকেই জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের দু’টি শিশু গত ২৩ জুলাই অপুষ্টিগত কারণে মারা যায় বলে ধৃতদের পরিবারের তরফে পশ্চিম খিলকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে অন্য এক যাযাবর পরিবারের একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সে মারা যায়। তার পরেই এলাকায় গোলমাল বাধে। উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত শীল বলেন, “এ দিন যে-শিশুটি মারা গিয়েছে, তার সেপ্টিসিমিয়া হয়েছিল। তাতেই তার মৃত্যু হয় বলে নথিতে লেখা হয়েছে। অন্য দু’টি শিশুর মৃত্যুর ব্যাপারে নথিতে কিছু নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ফের হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার শাসন সংলগ্ন ফলতি কাহারপাড়া এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ ওই এলাকায় সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টা দু’য়েক ধরে ১০টি বাড়িতে হামলা এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। চলে লুঠপাট। জখম হন জনা দশেক গ্রামবাসী। মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে বারাসত থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলার সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দী বলেন, “শাসনে আমাদের দলের প্রচুর সমর্থক ঘরছাড়া। কারও কারও পরিবার সেখানে রয়ে গিয়েছে। এ বার তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।” বারাসত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার সাঁপুই বলেন, “উনি মিথ্যা কথা বলছেন। ওখানে সিপিএমের দুষ্কৃতীদের ঘাঁটি ছিল। ওদের দলেরই দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি বিবাদকে কেন্দ্র করে এই গণ্ডগোল। ওরাই দু’দলে ভাগ হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একে অন্যের উপরে হামলা চালায়।”

কাঠ বোঝাই একটি নৌকা উল্টে যাওয়ায় মৃত্যু হল এক জনের। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির হাতাখালি নদীতে। মৃতের নাম গোপাল দাস (৪৫)। বাড়ি সন্দেশখালির গাববেড়িয়া গ্রামে। নৌকার মাঝি-সহ তিন জন অবশ্য সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৌকাটি জ্বালানি কাঠ নিয়ে সন্দেশখালির পিঁপড়েখালি গ্রাম থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির দিকে যাচ্ছিল। মাঝি লক্ষ করেন নৌকার তলায় ছিদ্র দিয়ে জল ঢুকছে। তাঁর সহকারী গোপালবাবু জল বের করতে যান। আচমকাই নৌকাটি উল্টে যায়। কাঠের নীচে চাপা পড়ে যান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গ্রামবাসীদের চেষ্টা মৃতের দেহ এবং নৌকাটি উদ্ধার করা হয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকালে সন্দেশখালিরই একটি মেছোভেড়িতে ভাসতে থাকা পবন মণ্ডল (৬০) নামে এক প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাড়ি জেলিয়াখালি পূর্বখণ্ড গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মাছ ধরতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে কোনওভাবে জলে পড়ে তলিয়ে যান।

স্কুলের ইউনিফর্মের রঙের পরে স্কুল-চত্বর থেকে সাইকেল চুরি করে পালানোর সময়ে ধরা পড়ে গেল এক যুবক। সমীর দত্ত নামে অশোকনগর রেল স্টেশন-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি হাবরার মছলন্দপুরের রাজবল্লভপুর হাইস্কুলের। পুলিশ ও স্কুল সূত্রের খবর, অন্য দিনের মতোই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাজা দত্ত বুধবার সাইকেল নিয়ে স্কুলে এসেছিল। সঙ্গে তার মা-ও ছিলেন। গত শনিবার এই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সাহেব দাস জলে ডুবে মারা যায়। সে কারণে এ দিন প্রার্থনার পরে স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। অল্প সময়ের জন্য স্কুলে আসায় ছেলেমেয়েরা অনেকেই স্কুল গেটের বাইরে মাঠে সাইকেল দাঁড় করিয়ে রাখে। প্রার্থনা চলাকালীন রাজার মা হঠাৎ দেখেন, একটি সাইকেল টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছে এক যুবক। তাঁর চিৎকারে অন্য ছাত্রেরা জড়ো হয়ে ওই যুবককে ধরে ফেলে। সমীর নামে ওই ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় প্রধান শিক্ষক কোরবান আলির ঘরে। এই স্কুলের ছাত্রদের পোশাক গাঢ় নীল রঙের ট্রাউজার এবং সাদা শার্ট। সমীরের পরনেও সেই রঙের পোশাক ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, তাঁদের চোখে ধুলো দিতেই এই পোশাক পরেছিল সমীর। তার কাছ থেকে বিভিন্ন আকারের বেশ কিছু চাবি এবং দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রধান শিক্ষক জানান, জুন মাসেই তিনটি সাইকেল চুরি গিয়েছে স্কুল থেকে। তাঁর অনুমান, দারোয়ানের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইউনিফর্ম পরে ওই যুবকই এর আগে স্কুলে ঢুকে সাইকেল চুরি করেছে।

চিটফান্ডের কর্তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কয়েক জন। কোনও মতে পালাতে পেরেছেন অমিত পোদ্দার নামে ওই ব্যক্তি। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলি অবশ্য অমিতবাবুর গায়ে লাগেনি। চিটফান্ডের ওই কর্তার বিরুদ্ধে বহু টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। কিছু দিন আগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। ইদানীং জামিনে মুক্ত আছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার হেলেঞ্চা বাজারের কাছে বনগাঁ-বাগদা সড়কে। বনগাঁর এসডিপিও বিমলকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করে টাকা আদায়ই সম্ভবত উদ্দেশ্য ছিল।” ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হেলেঞ্চা বাজারে অমিতের একটি দোকান আছে। কাছেই তাঁর বাড়ি। রাত ৮টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সে সময়েই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয় গাড়িতে।

সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জে গত ২ মার্চ শ্যামা দত্ত নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাট চালিয়ে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। বাসিন্দাদের দাবি মেনে ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি গ্রেফতার করা হয় ৯ জনকে। গত সোমবার ওই ঘটনায় আর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দিন রাতে হিঙ্গলগঞ্জ ও হেমনগর উপকূল থানার পুলিশ এবং সিআইডি যৌথ অভিযান চালিয়ে বাঁশিরাম মণ্ডল ও স্বপন রায় নামে ওই দু’জনকে ধরে। যে বন্দুক দিয়ে শ্যামাবাবুকে গুলি করা হয়েছিল সেটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন উপকূল থানার আমতলি হাজারিপাড়ায় বাঁশিরামের বাড়ির খড়ের গাদা থেকে উদ্ধার হয়। ধৃত স্বপন রায় ওরফে খোকনের বাড়ি সুন্দরবন উপকূল থানারই রাধানগরে। জেরায় স্বপন সেদিন শ্যামাবাবুকে গুলি করার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি।


সঞ্জু মোদক।
বন্ধুকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ থানার পুলিশ কৃষ্ণগোপাল দাস নামে নয়াগোপালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই যুবককে ধরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁরই খ্রিস্টানপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জু মোদককে গত ৫ জুলাই থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই দিন বিকেলে কৃষ্ণের ফোন পেয়েই বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন সঞ্জু। পরনে ছিল গোলাপি গেঞ্জি ও কালো জিনসের প্যান্ট। গলায় ও হাতে সোনার গয়না ছিল। সঞ্জুর বাবা বাবু মোদক জানান, ছেলের এক বন্ধু জানিয়েছে,
ঘটনার দিন রাত ১১টা সময়েও সঞ্জুর সঙ্গে তাঁর মোবাইলে কথা হয়। রাতে বাড়ি ফেরেননি সঞ্জু। পর দিন তাঁর মোবাইলে বার বার ফোন করলেও কেউ ধরেনি। পরে ফোনটি বন্ধও হয়ে যায়। কৃষ্ণগোপাল ও সঞ্জুর বাড়ির লোকজন জানান, ৫ জুলাই সন্ধে ৭টা পর্যন্ত তাঁরা এক সঙ্গে ছিলেন। ঘটনার পর থেকে কিছু দিন এলাকায় ছিলেন না কৃষ্ণগোপাল। তাঁর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্জুর পরিবার।

সদ্যোজাত এক শিশুপুত্রকে রাস্তার ধারের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হল। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাবরা থানার ২ নম্বর রেলগেটের কাছে হাবরা-মগরা সড়কের ধারে। রাত তখন সাড়ে ৯টা হবে। স্থানীয় জোড়া শিরিষতলার বাসিন্দা প্রশান্ত তপাদার নামে বছর পঁচাত্তরের এক বৃদ্ধ ওই রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তার ধারের ঝোপের মধ্যে থেকে তিনি শব্দ পান। প্রথমে মনে হয়েছিল বিড়ালের ডাক। সন্দেহ হওয়ায় বাড়ি থেকে টর্চ আনেন বৃদ্ধ। দেখেন, কাপড়ে জড়ানো সদ্যোজাত একটি শিশু কাঁদছে। স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটিকে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আপাতত তার ঠাঁই হয়েছে সেখানেই। প্রশান্তবাবুর মেয়ে বৈজয়ন্তী রায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চান। উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত শীল বলেন, “শিশুটিকে একটি হোমে পাঠানো হবে। কেউ যদি তাকে দত্তক নিতে চান, তা হলে জেলা সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।”

পুকুর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের গঙ্গাসাগর শ্মশান আশ্রমের একটি পুকুর থেকে ওই দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম দেবব্রত মজুমদার (৩৯)। তাঁর বাড়ি যাদবপুরের রামগড় এলাকায়। সম্পর্কে তিনি প্রয়াত প্রখ্যাত গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের ভাইপো। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড নেশা করতেন বলে দেবব্রতবাবু দিন দু’য়েক আগে দেবব্রতবাবু সাগরের ওই আশ্রমে এসেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে আশ্রম থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। সন্ধ্যায় বাসিন্দারা আশ্রমের কাছে পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কোনওভাবে পুকুরে পড়ে গিয়ে তিনি ডুবে যান।

মধ্যমগ্রামে বুধবার এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে মধ্যমগ্রামের এক গৃহবধূ ব্যায়ামাগারে শারীরচর্চা করছিলেন। তখন সেখানে আর কেউ ছিলেন না। সেখানকার প্রশিক্ষক মোহন গঙ্গোপাধ্যায় তখনই তাঁকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশের কাছে ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.