|
|
|
|
আবাসিক শিবির চান না ডার্বি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মোহনবাগান দিবসে ক্লাবের এ বারের ‘রত্ন’ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক সদস্য পদও দেওয়া হবে। শুক্রবার বিকেলে নেতাজি ইন্ডোরের ওই অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানানো হবে সদ্য ধ্যানচাঁদ পুরস্কার পাওয়া সাব্বির আলি এবং ‘অর্জুন’ ফুটবলার সুনীল ছেত্রীকে। প্রথম জন মোহনবাগানে খেলেননি। পরের জন এ বারই সবুজ-মেরুনে।
ক্লাব জুড়ে উৎসবের পরিবেশের মধ্যেই বুধবার সকালে মাঠে নেমে পড়লেন মোহনবাগান কোচ স্টিভ ডার্বি। এ মরসুমের অধিনায়ক ব্যারেটো বৃহস্পতিবারই ব্রাজিল থেকে এসে পড়ছেন। সঙ্গে আনছেন হাডসন লিমা সিলভা নামে এক ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডারকে। ব্যারেটো, ওডাফা, সুনীল, নবিদের মতো তারকারা নেই। মরসুমের প্রথম দিনের অনুশীলন হল নিয়মরক্ষার। বিকেলে ১৯৯১-র ঐতিহাসিক শিল্ড জয়ী ফুটবলারদের পরিবারের উপস্থিতিতে যখন ‘অমর এগারো’ বই প্রকাশিত হচ্ছে তখন তাঁবুতে যা ভিড়, তার সিকি ভাগও ছিল না সকালের নতুন কোচের উদ্বোধনী প্র্যাক্টিসে। |
|
মোহন-প্র্যাক্টিসে ডার্বির প্রথম দিন। সঙ্গে অসীম বিশ্বাস।-নিজস্ব চিত্র |
অসীম বিশ্বাস, শিল্টন পাল, সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়, মনীশ মৈথানি, বুঙ্গো সিংহদের নিয়ে মাঠ ছোট করে বার তিনেক ম্যাচ সিচুয়েশনে খেলালেন ডার্বি। নোটবুকে কিছু লিখেও রাখলেন। অনুশীলন শেষে অস্ট্রেলীয় কোচ বললেন, “সেপ্টেম্বরে ফেডারেশন কাপ। প্রথম টুর্নামেন্ট। তার আগে সেরা এগারো বাছাই এখন আমার লক্ষ্য।” জানালেন, প্রধান চিন্তা পুরো মরসুমে দলের ফিটনেস ঠিক রাখা। “৪ অগস্ট ফিজিও এসে গেলে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ফুটবলারদের।” মরসুমের শুরুতে সব ক্লাবে আবাসিক শিবির হলেও, মোহনবাগানে তা করার ইচ্ছে নেই ডার্বির। বললেন, “বাড়িঘর ছেড়ে শিবিরে গিয়ে উঠলে ফুটবলাররা একঘেয়েমিতে ভোগে!” ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর মর্গ্যান ১ অগস্ট মাঠে নামছেন। মঙ্গলবার বেশি রাতে শহরে এলেন তিনি। ক্লাবের চতুর্থ বিদেশি স্কটল্যান্ডের অ্যালান গাও শুরুতেই অনুশীলনে থাকছেন না। আপাতত ফিরে যাচ্ছেন। আসবেন অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
|
|
|
|
|
|