|
|
|
|
বিশ্বকাপের ভোজে সিএবির খরচ ৫২ লাখ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিশ্বকাপের তিন ম্যাচের ভোজে খরচ কিনা ৫২ লক্ষ টাকা, সেখানে আইপিএলের সাত ম্যাচে মাত্র ১১ লক্ষ!
বুধবার সিএবি-র সোজাসাপ্টা বার্ষিক সাধারণ সভায় হঠাৎ ইডেনে গত বিশ্বকাপের তিনটে ম্যাচে খাওয়া-দাওয়ার খরচ নিয়ে তুমুল বিতর্ক। সংস্থায় ভোটের রাজনীতি চলছে বলে মোহনবাগানের অভিযোগ। ব্যর্থতা সত্ত্বেও বছরে কুড়ি লাখ দিয়ে জুনিয়র ক্রিকেটের দায়িত্বে ডাভ হোয়াটমোরকে রেখে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে নিরামিষ বার্ষিক সভা বদলে গেল ‘আমিষ’ চাপানউতোরে। অবিচলিত শাসক গোষ্ঠী আবার জানাচ্ছে, সিএবি-র ইতিহাসে এ বছর রেকর্ড লাভ ২০ কোটি ৯৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৭৪ টাকা। যা গত বারের চেয়ে আট কোটি বেশি।
তাতে অবশ্য অভিযোগ ওঠা বন্ধ হচ্ছে না। ব্যালান্স শিট দেখাচ্ছে, বিশ্বকাপে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনে সিএবি-র খরচ ৫২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৫৪ টাকা। অথচ আইপিএলে খরচ ১০ লক্ষ ৯০ হাজার ৩২০ টাকা। প্রশ্ন ওঠে, এই বৈপরীত্য কী ভাবে সম্ভব? প্রাক্তন যুগ্ম-সচিব সমর পালের অভিযোগ, “খরচ বেশি হয়েছে। আর যখনই হিসাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সিএবি পাশ কাটিয়ে গিয়েছে।” বর্তমান যুগ্ম-সচিব বিশ্বরূপ দে জবাবে পাল্টা বলছেন, “যাঁরা এই প্রশ্নটা তুলছেন, তাঁরা ইংরেজি ভাষাটা বোঝেন না।” শাসকগোষ্ঠীর বক্তব্য, বিশ্বকাপের সময় আইসিসি-র নীতি মেনে প্রচারমাধ্যম থেকে আম্পায়ারসবাইকে পাঁচতারা হোটেলের খাবার দেওয়া হয়। আইপিএলের ক্ষেত্রে খরচের অধিকাংশই দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রশ্ন ইডেন রক্ষণাবেক্ষণের খরচ নিয়েও। যা প্রায় আড়াই কোটি টাকা। শুধু আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে রক্ষে নেই। মোহনবাগান আবার নতুন বিতর্ক তুলছে, ক্লাবের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু বলছেন, “জেলা ক্রিকেটের ফাইনাল ইডেনে ফ্লাডলাইট জ্বেলে হচ্ছে। কিন্তু লিগ বা নক আউট করা যাচ্ছে না। জেলার ভোট বেশি। এখানে কম। খেলায় ভোটের রাজনীতি বন্ধ হোক।” যা শুনে প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার বক্তব্য, “উনি তো ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য। সেখানে এই কথাগুলো বললে আলোচনা করা যায়।” এসবের মধ্যে এআইএফএফ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত সভার মাঝপথে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অভিযোগ করে যান, মিটিং রুমে দু’টো এসি কাজ করছে না। একটা ফ্যান অকেজো। গরমে নাজেহাল হয়েই তাঁকে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে! |
|
|
|
|
|