|
|
|
|
| |
| পয়া মাঠে সেট-পিসে বাজিমাত চান কোলাসো |
| স্বপন সরকার • নয়াদিল্লি |
আবু ধাবিতে ম্যাচের দুই-তৃতীয়াংশ ন’জনে খেলার সময় একটা মাত্র গোল খেয়েছিল ভারত। অম্বেডকর স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে প্রাক-বিশ্বকাপের ফিরতি ম্যাচে এগারো জনে সে রকমই দু’শো শতাংশ দিয়ে জিততে মরিয়া আর্মান্দো কোলাসোর দল।
তিন গোলে পিছিয়ে থাকলেও ভারতের কোচ কোলাসো দলের আত্মবিশ্বাস বোঝাতে ফিরতি ম্যাচের ছত্রিশ ঘণ্টা আগেই তাঁর প্রথম এগারো জানিয়ে দিয়েছেন। গোলে করণজিৎ। চার ব্যাক: সমীর নায়েক, রাজু গায়কোয়াড, গৌরমাঙ্গি, নবি। মাঝমাঠে স্টিভন ডায়াস, ক্লাইম্যাক্স, মেহতাব, ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। ফরোয়ার্ডে জেজে, সুনীল ছেত্রী। লাল কার্ড দেখা সুব্রত পাল ও দেবব্রত রায়ের বদলি হিসাবে রিজার্ভ বেঞ্চে থাকছেন সন্দীপ নন্দী ও হরমনজোৎ খাবরা।
|
 |
| তৈরি হচ্ছেন সুনীল ছেত্রী। |
অধিনায়ক ক্লাইম্যাক্স লরেন্স থেকে নবি-মেহতাবদের সঙ্গে হোটেলের ঘরে কথা বলে বোঝা গেল সকলেই নিজেদের উজাড় করে দিয়ে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা জিততে চান। তাই বলে কোলাসো কোনও মতেই অলআউট ঝাঁপাতে রাজি নন। বরং নিজের ডিফেন্স সামলে প্রতিআক্রমণে অ্যাটাকিং থার্ডে লোক বাড়িয়ে গোল পেতে চান। “অলআউট গিয়ে গোল খেয়ে গেলে আমার ছেলেদের মনোবল আরও ভেঙ্গে পড়বে। তাই অ্যাটাকে যেমন আমি লোক বাড়াতে চাই, প্রয়োজনে ডিফেন্সেও বাড়তি লোক থাকবে। একটা কম্প্যাক্ট ফুটবল খেলব আমরা,” বললেন তিনি। সঙ্গে যোগ করলেন, “সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে আমার দলটা যে ভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে ভারত প্রাচ্যের যে কোনও দেশকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। তার প্রমাণ কাতার ম্যাচেই ভারত দিয়েছে। এটুকু বলতে পারি কাল আপনারা একটা ভাল ম্যাচ দেখতে পাবেন।” কোলাসো জোর দিচ্ছেন সেট পিস মুভমেন্টের উপর। “আজকাল সেট পিসের গুরুত্ব খুব। যে টিম চার-পাঁচটা সেট পিসের থেকে গোটা দুয়েক গোল করে তারাই সাধারণত জেতে।”
আমিরশাহি কোচ কাতেনিক-ও বললেন “ভারতীয় দল প্রথম মিনিট কুড়ি খুবই বিপজ্জনক। কাতার ও আমাদের সঙ্গে আগের ম্যাচটায় লক্ষ্য করেছি ওরা প্রথম ১৫-২০ মিনিট খুব আক্রমণাত্মক খেলে। ওই সময়টা আমাদের সামলাতে হবে।”
অম্বেডকর বরাবর ভারতীয় দলের পয়া মাঠ। এখানেই দু’টো নেহরু কাপ জিতেছে ভারত। সেটাই সাহস জোগাচ্ছে কোলাসোকে। তিনি চান দর্শকেরা পুরো মাঠ ভরিয়ে তুলে জাতীয় দলের জন্য সারাক্ষণ গলা ফাটাক। প্রতিদ্বন্দ্বী দল প্রসঙ্গে ভারতের কোচ বললেন, “ওদের পাঁচ নম্বর (সাইড ব্যাক জাবর) আর ১৫ নম্বর (স্ট্রাইকার হামদি) দুর্দান্ত। ওদের নজরে রাখতেই হবে। বব হাউটনের আমলের লম্বা পাসে খেলা থেকে কোলাসোর ছোট-ছোট পাসে খেলাটা গোটা দল রপ্ত করে নিয়েছে এই ক’সপ্তাহে। রহিম নবি ও মেহতাব হোসেন দু’জনই যেমন বললেন “আসলে বাংলা আর গোয়ার ছেলেরা ওই ভাবে খেলেই বড় হয়েছে। তাই আমাদের সুবিধাই হচ্ছে। উঁচু বলে তারাই খেলতে পারে যারা প্রচণ্ড ফিট।”
|
আজ প্রাক-বিশ্বকাপে
ভারত: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি
(অম্বেডকর স্টেডিয়াম, সন্ধে সাতটা) |
|
|
 |
|
|
