টুকরো খবর
|
মেয়রের উপরে হামলার চেষ্টা, ধৃত
নিজস্ব সংবাদাতা • চন্দননগর |
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে চন্দননগর পুরসভার মেয়রের উপরে হামলা চালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুরসভারই কয়েক জন মৃত কর্মীর পরিবারের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনায় সন্ত্রস্ত্র মহিলা কর্মীরা পালান। পুরসভার অন্য কর্মীরা ছুটে এলে ওই যুবকেরা পালায়।মেয়র রাম চক্রবর্তী ওই ঘটনায় তিন জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। চন্দননগরের এসডিপিও তথাগত বসু বলেন, “বাকিরা অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রের খবর, চাকরির দাবি নিয়ে এ দিন বিকেলে ২০-২৫ জন যুবক পুরসভায় চড়াও হয়। তারা উর্দিবাজার ও ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা। ওই যুবকদের কয়েক জন মেয়রের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। মেয়র তখন ঘরেই ছিলেন। যুবকদের কয়েক জনের হাতে অগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ। কিছু পুরকর্মী বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি বাধে। হামলা চালাতে আসা যুবকের এক জনের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র মাটিতে পড়ে যায়। গণ্ডগোল হচ্ছে জানতে পেরে বেরিয়ে আসেন মেয়র। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চন্দননগরের বিধায়ক অশোক সাউ-ও। মেয়র বলেন, “আমি কোনও অনিয়ম করে কাউকে চাকরি দিতে পারব না। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সরকারি নিয়ম মেনেই তালিকা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা হবে।”
|
তোলাবাজিতে ধৃত ছেলে, মা ও বাবা উধাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাবা-মা-ছেলে মিলে হাওড়ায় তোলাবাজি করত বলে অভিযোগ। পুলিশ ধরেছে ছেলে সৌমেন বসুকে। পুলিশ জানায়, সৌমেনের বাবা স্বপন বসু ও মা সান্ত্বনা বসু পলাতক। মৌড়িগ্রামের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি সৌমেনদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে ওই যুবককে ধরা হয়েছে। সৌমেন দুইল্যা নজরুল পল্লিতে থাকে। মৌড়িগ্রাম, নজরুল পল্লি, বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দারা আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন, স্বপন ও তার দলবল তোলাবাজি করছে। স্বপনের বিরুদ্ধে সাট্টা ও চোলাই মদের ঠেক চালানোর অভিযোগ আছে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, দলীয় কর্মী স্বপন বসুর দুষ্কর্মে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। বুধবার অরূপবাবু বলেন, “দল-বিরোধী ও অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বপনকে ২৪ জুলাই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দলের সঙ্গে স্বপনের স্ত্রী-ছেলের সম্পর্ক নেই।” অরূপবাবু জানান, হাওড়ার এসপিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
|
স্ত্রী-নিগ্রহ, ধৃত বেসু-র শিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পুলিশের কাছে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। সেই অভিযোগে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বা বেসু-র এক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষকের নাম সুদীপ ঘোষ। তিনি বেসু-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক। ৯ জুলাই তাঁর স্ত্রী নিবেদিতা ঘোষ স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪৯৮ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। মঙ্গলবার তাঁকে বেসু ক্যাম্পাস থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃতকে বুধবার তোলা হয় হাওড়া আদালতে। সরকারি কৌঁসুলি জানান, ধৃতকে ১০ দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
|
পিস্তল-সহ যুবক ধৃত
সংবাদদাতা • কলকাতা |
বালির জেটিয়াবাগান এলাকায় বুধবার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শেখ কালু। তার বাড়ি আমতায়। এ দিন দুপুরে জেটিয়াবাগান গঙ্গার ঘাটে শুয়ে ছিল ওই যুবক। তখনই একটি ওয়ানশটার পিস্তল ও গুলি-সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি সূত্রে খবর, আমতা ছাড়াও বালির চৈতলপাড়া বস্তিতেও কালুর একটি বাড়ি আছে।
|
নিখোঁজ স্কুলছাত্র |
পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হল বছর নয়েকের একটি ছেলে। মঙ্গলবার, লিলুয়ার বামনগাছি সি রোডে। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ শাশ্বত দাস শ্রীঅরবিন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বামনগাছির বিবেকনগরে এক শিক্ষিকার কাছে পড়তে যায় সে। দেড়টা বেজে গেলেও ছেলে ফিরছে না দেখে মা কবিতা দাস ওই শিক্ষিকার বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন, শাশ্বত পড়তে যায়নি। সন্ধ্যায় কবিতাদেবী নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশ জানায়, শাশ্বতর বাবা তাপস দাস বস্ত্র ব্যবসায়ী। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি সালকিয়ায় আলাদা থাকেন। ছেলের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে তিনিও পুলিশে আলাদা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশ জানায়, মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। |
|