|
|
|
|
কসাইখানা বিলি নিয়ে ‘অনিয়ম’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডুয়া |
সরকারি টাকায় তৈরি কসাইখানা নিয়মরীতির তোয়াক্কা না করে বিলি করার অভিযোগ উঠল সিপিএম পরিচালিত পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পাণ্ডুয়ার বালিহাট্টা এলাকায় অন্তত পাঁচ বিঘা জমির উপর বেশ কয়েক বছর আগে ৫৭টি কসাইখানা তৈরি হয়েছিল। সাংসদ কোটা এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কসাইখানাগুলি নির্মাণ করা হয়। ঠিক হয়, লটারির মাধ্যমে সেগুলি ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিলি করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩২টি কসাইখানা বিলি করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে তৈরি হওয়া ১১টি কসাইখানা একই পদ্ধতিতে বিলি করা হয়। প্রকল্পের শেষ পর্যায়ে ১৪টি কসাইখানা তৈরির কাজ শেষ হয়ে যায় ইতিমধ্যে। সেগুলি পেতে কয়েকশো আবেদনপত্র জমা পড়ে পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েতে। কিন্তু অভিযোগ, পূর্ব ঘোষণা মত লটারি না করে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে ওই কসাইখানাগুলি বিলি করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন কিছু ব্যবসায়ী।
পাণ্ডুয়ায় ব্যবসায়ী কমিটির পক্ষে মহম্মদ বসির কুরেশি বলেন, “নিয়ম মেনে যে সব ব্যবসায়ী পঞ্চায়েতে আবেদন করেছিলেন তাঁদের কসাইখানা দেওয়া হয়নি। লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে নিজেদের পেটোয়া লোকেদের কসাইখানা বিলি করেছে পঞ্চায়েত।” এ বিষয়ে পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান বাবলু ঘোষ বলেন, “নিয়ম মেনেই লটারির মাধ্যমে পঞ্চায়েত কসাইখানা বিলি করেছে। কোনও রকম অনিয়ম হয়নি। লক্ষ লক্ষ মানুষ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেনেন। সবাই কী লটারি পান? যাঁরা পান না, তাঁরা অভিযোগ তোলেন অনিয়ম হয়েছে।”
চুঁচুড়ার মহকুমাশাসক জলি চৌধুরীর কথায়, “কসাইখানা বিলি নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই বিডিও তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্তের কাজ শেষ হলেই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা।” |
|
|
|
|
|