চাষে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল, নালিশ
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর বাড়িতে হামলা, ধান লুঠ, কাজে বাধার অভিযোগ তুলছিলেন আরামবাগের কড়ুই গ্রামের বাসিন্দা তথা তিরোল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান কাজি আইনাল হক। এ বার বেশ কিছু দিন ধরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে এবং তাঁর অনুগামী আরও তিন দলীয় কর্মীকে নিজেদের জমিতে চাষ করতে দিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ তুললেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের কাছেও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন।
কাজি আইনাল হক সিপিএমের আরামবাগ ৪ নম্বর লোকাল কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, “ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই তৃণমূল অত্যাচার শুরু করেছে। গত ৩ জুলাই চাষ করতে গেলে ওরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে বাধা দেয়। তার পর থেকে চাষ করতে পারছি না। একই অবস্থা হয়েছে আমাদের তিন দলীয় কর্মীরও। পুলিশ-প্রশাসনকে সে দিনই জানানো হয়। কিন্তু তার পরেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না।” ওই গ্রামে ২১ বিঘা জমি রয়েছে আইনালের। তিনি বলেন, “বীজ নষ্ট হতে বসেছে। রোপণের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। সিপিএম করি বলে ওদের এই জুলুম সহ্য করতে হচ্ছে।”
এ অভিযোগ অবশ্য মানেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুস সুকুর। তিনি বলেন, “আমাদের দলের তরফে কেউ চাষাবাদে বাধা দেয়নি। আইনাল এবং তাঁর দলীয় কর্মীদের চাষ করতে বলা হয়েছে।” তাঁর অভিযোগের কথা আইনাল তৃণমূলের মহকুমা কমিটির সভাপতি তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদারকেও জানিয়েছিলেন। তপনবাবু গত ১০ জুলাই দলীয় কর্মী প্রদীপ সিংহরায়কে ঘটনার সরেজমিন তদন্ত করতে পাঠান। প্রদীপবাবু পরের দিনই রিপোর্ট জমা দেন। তপনবাবু বলেন, “পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি। চাষাবাদ বন্ধ করা যাবে না। দলীয় ভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” আরামবাগ থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.