কেরোসিন ফেটে ফের মৃত দু’জন
কেরোসিন তেল থেকে বিস্ফোরণ উদ্বেগজনক চেহারা নিচ্ছে অসমের ধুবুরিতে। সরকার অনুমোদিত হকারদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা কেরোসিন কুপি, হ্যারিকেন কিংবা স্টোভে ভরে জ্বালানোর সময়ে বিস্ফোরণ ঘটছে। সোমবার রাত থেকে আরও ৪টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে আরও একটি শিশু এবং এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের নাম সীমা দে (২৫) ও আসরাফুল হক(৭)। রবিবার জেলা জুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫। জখমের সংখ্যা ২৩ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫। জখমেরা সকলেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার জেলা প্রশাসন থেকে হকারদের মাধ্যমে বিলি করা তেল ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তেল বিক্রিও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। তাতেও বিস্ফোরণের ঘটনা কমেনি। বুধবার থেকে অবশ্য ফের তেল বিক্রির নির্দেশ জারি হয়। তবে কেরোসিন তেল থেকে কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটছে সেই ব্যাপারে এখনও অন্ধকারে প্রশাসন। গত সোমবার ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের একটি বিশেষজ্ঞ দল ধুবুরিতে গিয়ে কেরোসিন তেলের নমুনা সংগ্রহ করেন। সেখানে দুটি নমুনার দাহ্য ক্ষমতা বিপজ্জনক বলে জানা গিয়েছে। কী ভাবে ওই দুটি নমুনার দাহ্য ক্ষমতা বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছল সেই ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছুই জানাতে পারেননি ইন্ডিয়ান অয়েলের গুয়াহাটির সিনিয়র ম্যানেজার (অপারেশন) মানস মণ্ডল। তিনি বলেন, “সাধারণত কেরোসিন তেলের দাহ্য ক্ষমতা সূচক ৪০-৫০ থাকে। সূচক যত কম হবে ততই বিস্ফোরণের ক্ষমতা বাড়বে। গোলকগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা ওই দুটি নমুনার মধ্যে একটির সূচক ২৫ এবং অন্যটির ২৮ ছিল। কী ভাবে এটা হল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এদিন ইন্ডিয়ান অয়েলের ওই প্রতিনিধি দল জেলার যে সমস্ত এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখান থেকে ফের নমুনা সংগ্রহ করেন। ধুবুরির জেলাশাসক সুনীল দত্ত বলেন, “দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলাফল যাতে দ্রুত জানা যায় সেই ব্যাপারে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে পুনরায় কেরোসিন তেল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” গত ২২ জুলাই থেকে ধুবুরিতে পর পর এক বিস্ফোরণের ঘটনার খবর মিলছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, জখমেরা সরকারি অনুমোদিত হকারদের কাছ থেকেই কেরোসিন তেল সংগ্রহ করেছিলেন। ধুবুরি শহর ছাড়াও বিস্ফোরণের ঘটনার খবর মিলেছে গোলকগঞ্জ, গৌরীপুর, আগমণী, হালাকুরা, আলমগঞ্জ-সহ লাগোয়া এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে ধুবুরি শহরে ৪টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সীমা দেবী মৃত্যু হয়। জেলার জরুয়াচর এলাকায় মারা যায় আসরাফুল হক নামে এক শিশুর। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি, অগপ-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
Previous Story Desh Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.