পাক বিদেশমন্ত্রীর কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করে কার্যত মনমোহন সিংহ সরকারকেই বিঁধলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ভারত-পাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মনমোহনের নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের যা কিছু সমালোচনা, সে সবই প্রকাশ পেয়েছে হিনা রব্বানির সঙ্গে কথোপকথনে।
দু’দিনের ভারত সফরে এসে পাকিস্তানের নতুন বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার আজ দেখা করেন বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ও লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে। দু’টি বৈঠকেই হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রীর আলোচনার বিষয়ে ‘প্রতিবাদ’ জানান বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে মুম্বই হামলার বিচারে কার্যত ‘শূন্য’ অগ্রগতি সত্ত্বেও যে ভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করছে ভারত, সে ব্যাপারেও হিনার কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। হিনার সঙ্গে বৈঠকের পর সুষমা বলেন, “বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম ভারত সফরেই যে ভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন হিনা, সে ব্যাপারে আমি তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রতিবাদ জানিয়েছি। এও বলেছি যে, পাকিস্তানে মুম্বই হামলার শুনানি একেবারে থমকে গিয়েছে। ২৬/১১-র সন্ত্রাসের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারে সন্তোষজনক অগ্রগতি হলে সেটাই সবথেকে বড় আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হত ভারতের কাছে। কিন্তু সে সব বাদ দিয়ে অন্য যা আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।” |
শর্ম-অল-শেখ থেকেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ যে ভাবে সন্ত্রাসদমন প্রসঙ্গ থেকে দু’দেশের আলোচনাকে কিছুটা পৃথক করে দেখার চেষ্টা করছেন, তাতে খুশি নয় বিজেপি। আগামী সপ্তাহ থেকে সংসদের অধিবেশনেও এই বিষয়ে সরব হবে তারা। তার আগে পাক বিদেশমন্ত্রীর কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করে সেই ভিতটাই প্রস্তুত করল কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী দল। বিজেপির মতে, ২৬/১১ মামলায় পাকিস্তানে চার জন বিচারপতি ইতিমধ্যেই বদল হয়ে গিয়েছেন। পঞ্চম জন সদ্য নিযুক্ত হয়েছেন। ১০০ জন সাক্ষীর মধ্যে এক জনের বক্তব্য মাত্র শোনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কী করে পাকিস্তানের সঙ্গে আস্থাবর্ধক আলোচনা চালাতে পারে? আজ এই কথাগুলোই হিনাকে বলেছেন আডবাণী-সুষমারা। হিনাকে বলার মধ্য দিয়েই পরোক্ষে মনমোহনকে বিঁধেছেন তাঁরা। |