|
|
|
|
বিধায়কের হুমকি, সড়ক নির্মাণে উদ্যোগী মুন্ডা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ঝাড়খণ্ডের নেতা-বিধায়কদের মধ্যে এখন ‘গাঁধীগিরি’-র ধুম। নিজেদের জোট সরকারের থেকে দাবি আদায় করে নিতেই এখন নেতারা কথায় কথায় আমরণ অনশনের পথ বেছে নিচ্ছেন।
এতে ফলও মিলছে কিছুটা। শরিক দলের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নলিন সোরেনের চাপে যেমন তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। বীরভূম সীমানায় ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়ার পাঁচবারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নলিনবাবুর আন্দোলনের হুমকিতে মুন্ডা অবিলম্বে দুমকা ও রামপুরহাটের মধ্যে সড়ক নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক নলিনবাবু রামপুরহাটের রাস্তা মেরামত না-হলে আমরণ অনশন করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এতেই অন্য কাজ ফেলে দুমকা-রামপুরহাট সড়কের শিলান্যাসের সিদ্ধান্ত নেন মুন্ডা। আজ বোকারোয় দলের কার্যসমিতির বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী রাতেই তড়িঘড়ি দুমকায় চলে যান।
দিন কয়েক আগেই ঝাড়খণ্ডে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অনশনে সামিল হয়েছিলেন বিজেপিরই প্রাক্তন বিধায়ক সরযূ রাই। জামশেদপুরের একটি অংশে টাটা স্টিলের নির্মাণকাজের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি অনশন শুরু করায় অস্বস্তিতে পড়ে সরকার। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস মিলতে সরযূবাবু এক দিনের মধ্যে অনশন তুলেও নেন। এর মধ্যেই আবার শরিক বিধায়কের কাছ থেকে চাপ আসতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি রাঁচিতে জেএমএম-এর একটি শীর্ষবৈঠকে ‘গুরুজি’ শিবু সোরেনের উপস্থিতিতে দলের নীতি হিসেবে সরকারের থেকে দলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে। দলের রাজনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে জেএমএম নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতেও পিছপা হবে না বলে স্থির করেছে। এর পরই দুমকা-রামপুরহাট সড়ক নিয়ে পথে নেমেছেন নলিনবাবু। তিনি বলেন, “৫০ কিলোমিটার দুমকা-রামপুরহাট সড়ক মেরামত করা ছাড়া ওই রাস্তায় পারমেসিয়ার সঙ্গে রঘুনাথগঞ্জকে জুড়তে হবে। আমি এই রাস্তা নিয়ে গ্রামীণ উন্নয়নমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোকে চিঠি লিখেছি, বিধানসভাতেও প্রশ্ন তুলেছি। কেউ গা করেননি।”
দুমকার একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মদন কুমার জানিয়েছেন, পাথর খাদানের মালবাহী পশ্চিমবঙ্গগামী ট্রাক ও গোড্ডার কয়লাখনির কয়লাবাহী ট্রাকের চাপে রামপুরহাটের রাস্তার হাল খুবই খারাপ। ৫০ কিলোমিটার যেতে তিন ঘণ্টা লাগে। নয়তো অনেক ঘুরে ম্যাসাঞ্জোর হয়ে রামপুরহাট-তারাপীঠে যেতে হয়। রাস্তা সারানো হলে সওয়া এক ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে। বিশেষত, তারাপীঠে যেতে সুবিধা হবে দুমকাবাসীর। মদন কুমার বলেন, “কেন্দ্রীয় সড়ক নির্মাণ তহবিলের ৬২ কোটি টাকা মিলেছে। তবে কাজ শুরু হচ্ছিল না।” মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সাঁওতাল পরগনায় খুশির আমেজ। পারমেসিয়া-রঘুনাথগঞ্জ রাস্তা নির্মাণেও মুখমন্ত্রী কাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। |
|
|
|
|
|