অবশেষে লালু প্রসাদের প্রত্যাবর্তন। বিহার রাজনীতিতে। গত বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর সেই যে দিল্লি গিয়েছিলেন তারপর বিহারে আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন লালু। জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরে আজ প্রথম দিল্লি থেকে পটনা এসেই লালু ঘোষণা করলেন, দিল্লি অনেক হয়েছে, এ বার থেকে বিহারেই থাকবেন। বিহারের মানুষের কাছে গিয়ে নীতীশ সরকারের কুকীর্তির কথা বলবেন। নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগটি কার্যত নতুন করে অক্সিজেন দিল আরজেডি প্রধানকে। |
যদিও গত কয়েক মাস ধরে কার্যত নিজেকে ঘরবন্দি রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন লালু। তাঁর কথায়, “গত বিধানসভার ফল বেরনোর পর আমি বলেছিলাম, ছ’মাস আমি কোনও কথা বলব না। সেই কারণে গত ছ’মাস ধরে আমি একেবারেই চুপ করেছিলাম। আজ প্রথম মুখ খুললাম। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বললাম। এখনও রাজ্যের বহু মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমি পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করব।” দিল্লিতে থাকার সময়ে তাঁকে নিয়ে যে সব খবর হয়েছে, তার সমালোচনা করে লালু বলেন, “অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, আমি নাকি কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জন্য সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। চার সাংসদ সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব যে পাওয়া যায় না, তা ভালই জানি। আমি রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে সনিয়াজির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।”
আজ পটনায় পৌঁছনোর পরে ১০ নম্বর সার্কুলার রোডে রাবড়ী দেবীর বাসভবনে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন লালু। সেখানে প্রভুনাথ সিংহ-সহ বেশ কয়েকজন নেতা লালুকে বলেন, দিল্লিতে থেকে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে না। প্রভুনাথ বলেন, “বিহারই আপনার রাজনৈতিক ক্ষেত্র। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আপনাকে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে।” প্রভুনাথের কথায় সায় দিয়ে পরে লালু বলেন, অগস্টে সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পর থেকে লাগাতার তিনি বিহারেই থাকবেন। তাঁর কথায়, “জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় পর ভেবেছিলাম, নীতীশ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তিনি তো মন্ত্রী-আমলাদের আড়াল করতে ব্যস্ত। প্রয়োজনে আমরা এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব। দ্বারস্থ হব জনতার আদালতেরও, তাঁরাই এর বিচার করবেন।” |