টু-জি মামলা
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরকে দুষলেন প্রাক্তন সচিব
টু-জি স্পেকট্রাম মামলায় এ বার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাওয়ের নাম টেনে আনলেন টেলিকম মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরা। সুব্বারাওয়ের নামে জেলবন্দি বেহুরা অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি স্পেকট্রামের লাইসেন্স ফি ভাল করে পর্যালোচনা না করেই তা কার্যকর করেছেন। পাশাপাশি, নিজের ব্যাপারেও সাফাই গেয়েছেন বেহুরা। জানিয়েছেন, সরকারের নীতি কার্যকর করায় তাঁর কোনও ভূমিকাই ছিল না। কারণ তিনি ২০০৮ সালে টেলিকম মন্ত্রকে যোগদান করেন। কিন্তু তার আগেই টু-জি সংক্রান্ত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে স্রেফ ফাঁসানো হয়েছে।
বেহুরা টু-জি মামলায় এ ভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের নাম উঠে আসায় ফের এক বার অস্বস্তি পড়ে গেল ইউপিএ সরকার। গত কয়েক দিনে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা সংশ্লিষ্ট কেলেঙ্কারির দায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহানবতীর উপর চাপাতে চেষ্টা করেছেন। সেই ধোঁয়া কাটিয়ে ওঠার আগেই এ বার বোমা ফাটালেন বেহুরা। আজ সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারক ও পি সাইনির এজলাসে তাঁর উপরে চাপানো যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেহুরা। বিচারককে তিনি জানিয়েছেন, টু-জি লাইসেন্সের জন্য বরাদ্দ ফি ১ কোটি ৬৫৯ কোটি টাকা রাখা হবে নাকি পরিবর্তন করা হবে, সে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতেই রাজি হননি সুব্বারাও। তার পরেও যদি সুব্বারাওকে অভিযুক্ত করা না হয়, তবে তাঁকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত গত ৬ মাস জেলে বন্দি রয়েছেন বেহুরা।
বেহুরার আইনজীবী আজ আদালতে জানান, ২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর টু-জি’র লাইসেন্সের ফি চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে এনডিএ সরকারের জমানায় যে ফি ধার্য হয়েছিল, তাই-ই (১ কোটি ৬৫৯ কোটি টাকা) রেখে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে নতুন করে পর্যালোচনার প্রয়োজন মনে করেননি সুব্বারাও। বেহুরা বলেন, “ফি চূড়ান্ত করার দিনে সুব্বারাওয়ের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন তখনকার অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। তিনিও কিছু বলেননি। আমি ২০০৮ সালে টেলিকম মন্ত্রকে যোগ দিই। তার আগেই টু-জি সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল।”
বেহুরা জানান, তৎকালীন টেলিকম মন্ত্রকের অর্থকমিটির সদস্য মঞ্জু মাধবনই একমাত্র ফি বাড়ানোর জন্য ২০০৭ সালের নভেম্বরে প্রস্তাব রেখেছিলেন। কিন্তু তাতে কেউ কান দেননি। তবে ফি চূড়ান্ত করার দিনে তিনিও মুখ খোলেননি। এ রাজার নীতিতে বিরক্ত হয়ে এক সময়ে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশও করেন ১৯৭১ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার।
Previous Story Desh Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.