|
|
|
|
সমালোচনায় সরব বিজেপি |
সুদের হার আরও বাড়তে পারে, ইঙ্গিত প্রণবের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে আগামী দিনে সুদ আরও বাড়াতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আজ তেমনই ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়।
গতকালই আরও এর দফা সুদ বৃদ্ধি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু এতেও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। প্রধান বিরোধী দলের অভিযোগ, গত ১৫ মাসে এই নিয়ে ১১ বার সুদের হার বাড়ালো। কিন্তু এতে মুদ্রাস্ফীতির হার আরও বাড়বে। বাড়ি-গাড়ির ঋণের বোঝা ও মাসিক কিস্তির পরিমাণ বাড়ায় মধ্যবিত্তদের পকেটে আরও চাপ পড়বে। দলের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দিশা হারিয়ে ইউপিএ-সরকারকে এখন শুধু সুদের হার বাড়ানোর উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, এই সুদ বৃদ্ধি প্রয়োজন ছিল। কারণ গত জুন মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ৯.৪৪ শতাংশে পৌঁছেছিল। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যাবতীয় চেষ্টা সত্বেও চলতি বছরের শেষে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশের কম হবে না। কাজেই সুদের হার বাড়িয়ে জোরালো সঙ্কেত দেওয়াটা জরুরি ছিল। কিন্তু খাদ্যপণ্যে ৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির হার কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। গত বছরের ফ্রেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার যে ভাবে ২২ শতাংশে উঠেছিল, তা এখন অনেকটা নেমে এলেও এখনও তা যথেষ্ট বেশি বলেই মানছেন প্রণববাবু। আর তাই এখনই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুঠো শক্ত করার পালা শেষ নয় বলেই তিনি মনে করছেন।
বিজেপি পাল্টা যুক্তি দিয়েছে, খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার কমাতে হলে সরকারকে ঠিকমতো খাদ্যশস্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। বাজারে নগদের জোগান কমাতে পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প নিতে হবে। কিন্তু তা না করে সরকার পেট্রো-পণ্যের মূল্য ও সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে।
এর ফলে শিল্পসংস্থাগুলিরও ঋণ নেওয়ার খরচ বাড়ছে। সব মিলিয়ে উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় শিল্পসংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। সুদের হার বাড়ায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাসন ও মোটরগাড়ি শিল্প। হাজার হাজার মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। |
|
|
|
|
|