|
|
|
|
ভাঙচুর হাসপাতালেও |
ফের দুর্ঘটনায় মৃত্যু সেক্টর ফাইভে, অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
এক মাস আগেই বেহাল রাস্তায় পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়েছিল বিধাননগরের সেক্টর ফাইভ এলাকা। ছুটে যান পুরমন্ত্রী, বিধায়কেরা। রাস্তা সারানো, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বাড়তি ব্যবস্থা, স্পিডব্রেকার বসানো-সহ নানা আশ্বাসও মেলে। এক মাস পরে বুধবার সকালে ফের কার্যত একই জায়গায়, টেকনোপলিসের কাছে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ভ্যানচালকের। ফের বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় মানুষ। ভাঙচুর করা হয় গাড়িটিও। এলাকাবাসীদের বক্তব্য, এ বারও স্পিডব্রেকার না থাকাতেই বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা গাড়িটি ধাক্কা মারে ভ্যানটিকে। তখন ওই রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশও ছিল না। পুলিশের অবশ্য দাবি, দোষ ছিল ভ্যানচালকেরও। তিনি রাস্তার ভুল দিক ধরে যাচ্ছিলেন।
মৃত ভ্যানচালকের নাম হরিদেব কর্মকার। দুর্ঘটনার পরে পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে এর পরে মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের মহকুমাশাসক মলয় মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে বিধাননগর পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল পৌনে আটটা নাগাদ নয়াপট্টির নজরুলপল্লির বাসিন্দা হরিদেববাবু ভ্যানরিকশা নিয়ে রাস্তা পার হয়ে অন্য দিকের লেন ধরে যাচ্ছিলেন। রাজারহাটের দিক থেকে দ্রুত গতিতে বিধাননগরের দিকে আসা একটি গাড়ির ধাক্কায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ঘাতক গাড়িটির চালক চম্পট দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত হরিদেববাবুকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইতিমধ্যে দুর্ঘটনার পরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, ওই সময়ে ট্রাফিক পুলিশ ছিল না সেখানে। রাজারহাট বক্সব্রিজ থেকে নেমে টেকনোপলিসের কাছে এই মোড়ে স্পিডব্রেকার না থাকায় গাড়িগুলি তীব্র গতিতে চলে। বিশেষত পাঁচ নম্বর সেক্টরে কারপুলের গাড়িগুলি। এর জেরে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বিক্ষোভের জেরে কিছুক্ষণ রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট হয়। বিমানবন্দরগামী বহু গাড়ি আটকে পড়ে।
হরিদেববাবুকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে পৌঁছন পরিবার ও স্থানীয়রা। চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের এই দাবি মানতে চাননি হাসপাতালে আসা নয়াপট্টির বাসিন্দারা। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, আচমকাই কয়েক জন এক চিকিৎসককে মারধর শুরু করেন। ওই চিকিৎসককে বাঁচাতে এসে শ্যামল চক্রবর্তী-সহ হাসপাতালের বেশ কয়েক জন কর্মীও আক্রান্ত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মহকুমাশাসক। চিকিৎসক দুই হামলাকারীকে চিহ্নিত করলে তাঁদের আটক করে পুলিশ। তাঁদের নাম চিন্ময় মণ্ডল ও বিটন হাড়ি। এ দিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগের জবাবে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সোমনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই রোগী ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।” |
|
|
|
|
|