পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে লড়ার জন্য এক জনই পুরুষ আছেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! দীর্ঘ ২৭ বছর আগে তাঁর জন্য এই শংসাপত্র আদতে যাঁর তৈরি, প্রায় তিন দশক পরে খোদ তাঁর কাছ থেকে জগদ্বিখ্যাত ‘ব্যারিটোনে’ অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা-বার্তা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা! আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা আমন্ত্রণ জানালেন, পরের বার কলকাতায় এলে অবশ্যই যেন জানিয়ে আসেন। তখন ‘আড্ডা’ হবে! আমন্ত্রিতের নাম অমিতাভ বচ্চন! একটি হিন্দি ছবির প্রচারে বুধবার কলকাতায় এসে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের জন্য তৃণমূল নেত্রীকে অভিনন্দন জানান অমিতাভ। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অমিতাভ তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ফোন করেন বলিউডের মেগাতারকাকে। আলাপচারিতায় উঠে আসে পুরনো দিনের কথা। মমতার কথায়, “অমিতাভজি বাংলায় থেকেছেন। বাংলা বলতে পারেন। ওঁর স্ত্রী জয়া ভাদুড়ি পুরোপুরি বাঙালি। আমার সঙ্গে অমিতাভজি’র পরিচয় অনেক দিনের। আমি বলেছি, পরের বার এলে আমাকে জানিয়ে আসবেন। দেখা করে তখন আড্ডা হবে।” সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে মমতা যখন প্রথম লোকসভায় যান, ইলাহাবাদ থেকে অমিতাভও তখন সাংসদ। তারকা-সাংসদ সুনীল দত্ত, অমিতাভ ও মমতা একসঙ্গে বসতেন। ফেলে-আসা দিন মমতা ভোলেননি। কথা বলতে গিয়ে এ দিন তিনি দেখেছেন, ভোলেননি অমিতাভও!
|
তৃণমূল পুর বোর্ডের হাতে তির তুলে দিলেন পুরসভার সিপিএম নেতৃত্ব। বাম পুর বোর্ডের আমলে পথশিশুদের জন্মের এমন অনেক শংসাপত্র বিলি হয়েছে, যাতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। ফলে সেগুলি বৈধও নয়। সেই ঘটনার কথা চাউর হতে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল পুর সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। বুধবার পুর বাজেটের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিরোধী নেত্রী, সিপিএমের রূপা বাগচী পুরসভার অন্য কয়েকটি কাজের সঙ্গে পথশিশুদের জন্মের শংসাপত্র বিলির ঘটনারও তদন্ত দাবি করেন। সিপিএম নেত্রীর দাবি লুফে নিয়ে ওই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সভার বাইরে রূপাদেবী বলেন, “ক্ষমতায় এসে এখনকার পুর বোর্ড জেএনএনইউআরএম প্রকল্প, পথ শিশুদের জন্মের শংসাপত্র-সহ অনেক ঘটনারই তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ হয়নি। আমি সেটাই বলতে চেয়েছিলাম।’’ গত বাম পুর বোর্ডের আমলে শহরের পথশিশুদের জন্মের শংসাপত্র বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুসারে প্রায় ৫০ হাজার শংসাপত্র ছাপা হয়। শংসাপত্রগুলি বিলি হয়েছে পুরসভার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়াই। পথশিশু ছাড়াও ওই শংসাপত্র বিলি হয়েছে শহরের স্থায়ী ঠিকানার অনেক বাড়িতেও। পুর রেজিস্ট্রেশন না-হওয়ায় সেই সব শংসাপত্র বৈধতা পায়নি। যা নিয়ে পরবর্তী কালে সমস্যায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। এ দিন বাজেট বিতর্কের জবাবি বক্তৃতায় মেয়র শোভনবাবু বলেন, “এখন থেকে শহরের বহুতল, সিনেমা হল-সহ সব প্রেক্ষাগৃহ, রেস্তোরাঁ, বড় বাজার, মাল্টিপ্লেক্সে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি বসানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আবশ্যিক করা হচ্ছে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম রাখার বিষয়টিও।
|
কলকাতায় গঙ্গার ঘাটগুলির সংস্কারের কাজে গতি আনতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডের আপত্তিতে গঙ্গার ঘাট সংস্কারের কাজ শিকেয় উঠেছে। সেনাদের বক্তব্য, ঘাটগুলি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও এ কাজে বাহিনীর অনুমতি নেওয়া হয়নি। ১০ মার্চ ঘাটগুলি সংস্কারের জন্য সেনাকে একটি চিঠিও লেখে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু কাজ না হওয়ায় এ বার খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছেই দরবার করলেন তৃণমূলের সাংসদ সুদীপবাবু। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “বাবুঘাট থেকে তক্তাঘাট পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি নেই বলে সেনারা কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি আজ অ্যান্টনিকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।” সুদীপবাবু দাবি করেছেন, ঘাট সংস্কারের কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনি।
|
আলিপুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হল পরিচারক। ধৃত চেতন সোয়াইনের বাড়ি ওড়িশায়। রবিবার আলিপুর থানায় ওই ব্যবসায়ী চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার বন্দর এলাকা থেকে চেতনকে ধরা হয়। ডিসি (সাউথ) এস কে গজমের জানান, ওড়িশায় চেতনের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া গয়না মিলেছে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত ধৃতকে পুলিশি হেফাজত দিয়েছে আদালত।
|
পাঁচ-দশ জন নন, ১০০০ শিল্পী সমবেত ভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন। ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। শুধু রাজ্যের ১৪টি জেলা থেকে আসা শিল্পীরাই নন, থাকবেন বাংলাদেশের শিল্পীরাও। আয়োজক ‘মুক্তধারা’র এটি দ্বিতীয় প্রয়াস। সভাপতি অরুন্ধতী দেব বলেন, “রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। হাজার জন শিল্পী গাইবেন ২৭টি রবীন্দ্রসঙ্গীত।” |