চুক্তি দেখেননি, বিশ্বব্যাঙ্কের টাকা নিতে সই করলেন না উপাচার্য
বিশ্বব্যাঙ্কের টাকা নেওয়ার আগে চুক্তি খুঁটিয়ে দেখতে চান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুব্রত পাল। বুধবারের মধ্যে ওই চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপাচার্য সই না করায় ১০ কোটি টাকার অনুদান ফিরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ইউনির্ভাসিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-র (ইউআইটি) বেশ কিছু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে রাজ্যের প্রযুক্তি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রী, খোদ বর্ধমানের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নেব।”
দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ‘টেকনিক্যাল এডুকেশন কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম’ (টিইকিউইআইপি)-এর আওতায় বিশ্বব্যাঙ্ক পাঁচ বছর পরে দ্বিতীয় দফায় ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ দফতরকে। তারা আবার রাজ্য সরকারগুলিকে সেই টাকা দেবে। রাজ্য সরকার অনুমোদিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিকে ঋণ শোধ দিতে হবে না। কেন্দ্র ৭৫% এবং রাজ্য ২৫% টাকা শোধ করবে। কয়েক মাস আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় এই ঋণের জন্য মানবসম্পদ দফতরের কাছে আবেদন করেছিল। ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়। কিন্তু উপাচার্য সব শর্ত খুঁটিয়ে না দেখে সই করতে রাজি হননি। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের আশঙ্কা, এর ফলে ইউআইটি-র পরীক্ষাগার, পাঠাগার ও উপকরণ উন্নতকরণের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। এর প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলেও তাঁরা হুমকি দিয়েছেন।
সই করা প্রসঙ্গে উপাচার্যের যুক্তি, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে এই টাকা নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু আমায় ব্যক্তিগত ভাবে চুক্তিতে সই করতে হবে, এমন কথা জানা ছিল না।” তাঁর আরও দাবি, “রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে সই করার কথা রেজিস্ট্রারের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন রাজ্য সরকারের তরফে কেন আমায় সই করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।” রেজিস্ট্রার ষোড়শীমোহন দাঁ আবার বলেন, ‘‘আমি চুক্তিতে সই করতেই পারি। কিন্তু তার জন্য উপাচার্যের অনুমতি দরকার।” মঙ্গলবারই রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের অধিকর্তা সজল সেনগুপ্ত উপাচার্যকে টেলিফোন করে চুক্তিতে সই করতে বলেন। উপাচার্যের খেদ, “আমি ওঁর কাছে টাকা নেওয়ার শর্ত জানতে চাইলে উনি বলেন, ‘আপনাকে ও সব নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।’ আমাকেই সই করতে হবে, অথচ মাথাও ঘামাব না, এটা কী করে হয়? যদি সই করতেই হয়, চুক্তির সমস্ত ধারা খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ আমায় দিতে হবে।”
Previous Story Bardhaman Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.