বেআইনি হোর্ডিং ভাঙল এডিডিএ
বিধানসভা ভোটের পরেই বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে দুর্গাপুরের সিপিএম পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল। মেয়রের কাছে এ ব্যাপারে স্মারকলিপিও দেয়। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। বুধবার আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার তরফে ভেঙে দেওয়া হল প্রায় সমস্ত হোর্ডিং। সংস্থার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দুর্গাপুরে হোর্ডিং নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠছে। যত্রতত্র হোর্ডিং লাগানো যাবে না। জায়গা নির্দিষ্ট করা হবে। সেখানে হোর্ডিং লাগানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতার বেশ কিছু এলাকা থেকেও হোর্ডিং সরিয়েছে প্রশাসন।
দুর্গাপুরে হোর্ডিং নিয়ে বহু দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। এডিডিএ-কে না জানিয়ে হোর্ডিং লাগানোর অভিযোগ উঠেছে পুরসভার বিরুদ্ধে। রয়েছে এ ব্যাপারে অস্বচ্ছতার অভিযোগও। দুর্গাপুর ২ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও টেন্ডার ছাড়াই হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দেয় পুরসভা। নির্দিষ্ট কয়েকজন সেই কাজ পান।” প্রতিবাদে সপ্তাহ তিনেক আগে আগে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবির পাশাপাশি বেআইনি হোর্ডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তিন দিন ধরে পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে মেয়র রথীন রায়ের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। দেবব্রতবাবু বলেন, “অবিলম্বে বেআইনি হোর্ডিং খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয় মেয়রের কাছে। মেয়র ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।”
নিজস্ব চিত্র।
বস্তুত, শহরের বিভিন্ন জনবহুল জায়গায়, বিশেষত সিটিসেন্টার এলাকায় হোর্ডিংয়ের রমরমা বাড়ায় অসুবিধায় পড়েন বাসিন্দারা। এমনিতে অধিকাংশ জায়গায় ফুটপাথ নেই। তার উপরে রাস্তার গা ঘেঁষে লোহার খুঁটিতে বড় বড় সব হোর্ডিং। ফলে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। যুব তৃণমূল নেতা দেবব্রতবাবু বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, পুরসভা এডিডিএ-র অনুমতি না নিয়ে হোর্ডিং লাগানোর জায়গা দেয়। তাছাড়া হোর্ডিংয়ের জন্য কোনও টেন্ডারও ডাকা হয় না। পছন্দের লোকজনকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এমন করা হয়েছে। এতে পুরসভার আয়ও কমেছে।” তাঁর দাবি, মেয়র রথীন রায় জানিয়েছিলেন, কিছু অনিয়ম থাকতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইন মেনে কাজ হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন মেয়র।
কিন্তু কাজের কাজ কিছু না হওয়ায় দিন তিনেক আগে বিষয়টি নিয়ে ফের সরব হয় যুব তৃণমূল। তারা বিষয়টি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে জানায়। এর পরেই বুধবার সকালে দেখা যায়, এডিডিএ-র পক্ষ থেকে ডোজার-সহ অন্য যন্ত্রপাতি নিয়ে হোর্ডিং ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশি বন্দোবস্তও ছিল। ভেঙে ফেলা হয় প্রায় সমস্ত হোর্ডিং। মালপত্র ট্রাকে চাপিয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়র রথীন রায় বলেন, “এটি পুরোপুরি এডিডিএ-র ব্যাপার। আমার কিছু জানা নেই।” তবে এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপসবাবু বলেন, “এডিডিএ-র জায়গায় থাকা সমস্ত বেআইনি হোর্ডিং নষ্ট করে ফেলা হবে। টেন্ডার ডেকে হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দেওয়া হবে।”
Previous Story Bardhaman Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.