টুকরো খবর

নিগমে প্রশিক্ষণ দেবেন বয়স্কেরা
বসে যাওয়া ৩০০ চালক নিয়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার খুলবে এনবিএসটিসি। রবিবার সংস্থার মালদহ ডিপো পরিদর্শন করতে গিয়ে এ কথা জানান চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর আশা, উত্তরবঙ্গকে ঘিরে পযর্টন শিল্পে যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তাতে প্রচুর চালকের প্রয়োজন হবে। এনবিএসটিসি’র এই ট্রেনিং সেন্টার থেকে পাশ করা ছেলেদের জন্যও কর্মসংস্থানের রাস্তা খুলে যাবে। কোমায় চলে যাওয়া উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমকে বাঁচিয়ে তুলতে কর্মীদের এগিয়ে আসার আবেদন জানান সংস্থার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবিবার এনবিএসটিসি’র মালদহ ডিপো পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, “নিগমের সর্বত্র অব্যবস্থা চলছে। সংস্থাটি কোমায়। একে বাঁচাতে সমস্ত কর্মীকে উদ্যোগী হতে হবে।” তবে সংস্থা বাঁচাতে এখনই কর্মী ছাঁটাই বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পক্ষপাতী নন রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, “এ মুহূর্তে কোনও কর্মীকেই কড়া দাওয়াই দিচ্ছি না। বুঝিয়ে সুঝিয়ে সংস্থা বাঁচানোর চেষ্টা করছি। কর্মীরা সর্তক না-হলে কড়া দাওয়াই দিতে হবে।” তিনি জানান, সংস্থা পরিচালনায় নানা অনিয়ম নজরে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। সংস্থার মালজহ ডিপোর কারশেড থেকে শুরু করে যাত্রী প্রতীক্ষালয়, ডিপো-ইন-চার্জের ঘর ঘুরে সকলের সঙ্গে কথা বলেন চেয়ারম্যান। কর্মীদের পিঠ চাপড়ে উৎসাহ দিয়ে বলেন, “আমার নিজস্ব একটি গাড়ি আছে। সেটি ১৯৮৪ সালের। এখনও সুন্দর চলছে। সংস্থার ৩ বছরের পুরানো যে গাড়িটি দেওয়া হয় তাতে চড়তে ভয় করে। আমি গাড়ি যে-যত্নে রেখেছি কেন সংস্থার গাড়িগুলো আপনারা সেই ভাবে যত্নে রাখবেন না।”

প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ
বীজ রোপন এবং সার দেওয়ার জন্য হরিয়ানা থেকে একটি যন্ত্র এনেছে হলদিবাড়ি ব্লক কৃষি দফতর। এখন বৃষ্টি কমার অপেক্ষা। বর্ষার পরে ওই যন্ত্র দিয়ে কি ভাবে চাষ করতে হয় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্লকের কৃষি আধিকারিক সঞ্জীব মিত্র বলেন, “যন্ত্রটি ব্যবহার করলে গাছ কখনও হেলে পড়বে না। উৎপাদন খরচও কম হবে। আপাতত ধান, গম এবং সর্ষে উৎপাদনে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে চাষিদের ধারণা দেওয়া হবে।” কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে। সেটির ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই যন্ত্রটির মধ্যে প্রয়োজনীয় সার এবং বীজ ভরে শুকনো জমির ওপর দিয়ে নিয়ে গেলে যন্ত্রটি নিজেই শস্য পোঁতার পর সার দিয়ে দেবে। তবে শুকনো জমি না হলে যন্ত্রটি কাজ করবে না। বর্ষার পর হলদিবাড়িতে গম এবং সর্ষে চাষে সেটি ব্যবহার করা হবে বলে কৃষি দফতর সূত্রের খবর।

অনশনের সাত দিন
পৃথক রাজ্য দাবিতে গ্রেটার কোচবিহার পিপ্লস অ্যাসোসিয়েশনের অনশন আন্দোলন চলছেই। রবিবার ৭ দিনে পড়ল। আলোচনায় সমস্যা মেটাতে প্রশাসন উদ্যোগী হলে আন্দোলনকারী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লির স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের আশ্বাস না মিললে অনশন প্রত্যাহার করবেন না। পরিস্থিতির কথা জানিয়ে স্বারাষ্ট্র সচিবকে চিঠি পাঠান জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র। তিনি বলেন, “রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি। নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আলোচনায় সমস্যা মেটানোর প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারকেও এ কথা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেও উত্তর আসেনি। জিসিপিএ’র সম্পাদক নমিতা বর্মন বলেন, “দাবি পূরণে দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের লিখিত আশ্বাস ছাড়া অনশন প্রত্যাহার করছি না।” কোচবিহারকে ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য ঘোষণা এবং তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা গঠনের দাবিতে শহরে রাসমেলা মাঠে গত সোমবার অনশনে বসে জিসিপিএ সমর্থকেরা। গোলমাল এড়াতে জলকামান, বিশেষ গাড়ি ‘বজ্র’সহ প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কমিউনিস্ট অর্গানাইজেশন অব নর্থবেঙ্গল (প্রস্তুতি কমিটি)-এর ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ দিন অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করে। তাঁরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানো।

অনশনে অসুস্থ ৯
সাজার মেয়াদ ফুরনোর পরেও জেল থেকে বাড়িতে ফিরতে না পেরে অনশনে সামিল ৯ জন বাংলাদেশি বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার রাতে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে কোচবিহার জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। বন্দিদের মধ্যে ৫ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষ রয়েছেন। মাস ছয়েক আগে সাজার মেয়াদ শেষ হলেও জেল থেকে ছাড়া পাননি তাঁরা। বৃহস্পতিবার থেকে অনশন শুরু করেন সকলে। কোচবিহারের জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “ওই ৯ জনের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা শুনেছি। ওদের বাংলাদেশে ফেরানোর ব্যপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।”

ব্যবসায়ীর দেহ মিলল
ঝোপ থেকে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার চোপড়া থানার ফকিরদারা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম নৃপেন সরকার (২৭)। বাড়ি চোপড়াথানার ভকতিয়াডাঙি এলাকায়। সোনাপুর এলাকায় তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। হাট থাকায় প্রতি শনিবার শিলিগুড়িতে দোকানের জিনিস আনতে যান তিনি। ওই দিনও গিয়েছিলেন। অন্য দিন রাত ৮টার মধ্যে ফেরেন। ওই দিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না ফেরায় বাড়ির লোকেরা ফোন করতে থাকেন। ফোন না পেয়ে খোঁজ করতে শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মিলন কান্তি দাস বলেন, “কী কারণে ওই ব্যবসায়ী খুন হলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

বিষক্রিয়ায় মৃত দুই
বিষক্রিয়ায় এক গৃহবধূ এবং এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হল। রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে দু’ জনেই মারা যান। মৃতা গৃহবধূর নাম ঝর্না রায় (২৪)। ছাত্রীর নাম রেজিনা পারভিন (১৬)। ঝর্নার বাড়ি কুশমন্ডি। রেজিনা হেমতাবাদ সমসপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদে ওই গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সমসপুর হাইস্কুলের ছাত্রী রেজিনা।

শিক্ষাবিদের মৃত্যু
দীর্ঘ রোগভোগে মারা গেলেন মালদহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নির্মলকৃষ্ণ সান্যাল। রবিবার মালদহের মকদমপুরে নিজের বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স ৯০ বছর। মালদহ জেলা স্কুল থেকে ৮১ সালে অবসর নিলেও শিক্ষা বিস্তারে জড়িত ছিলেন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত তাঁর ছাত্র ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও গুণমুগ্ধদের রেখে গেলেন।

অনশন মঞ্চেই মা
অনশন আন্দোলনে এসে সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরলেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার সোনারপুরের বাসিন্দা স্বপ্না সিংহ। গত সোমবার রাসমেলা ময়দানে স্বামী বাঁশিলাল সিংহের সঙ্গে জিসিপিএ-র অনশন আন্দোলনে যোগ দেন। প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের লোকেরা শিশুটির নাম রেখেছেন চিলারায় সিংহ।
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.