|
|
|
|
সরকারি বাংলো ভাড়ায় নালিশ বিধায়কের নামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
দফতরের ইন্সপেকশন বাংলো-কাম-কোয়ার্টার মাত্র ৭০০ টাকা ভাড়ায় মালদহের এক আরএসপি’র এক বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেচ দফতরের বিরুদ্ধে। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে দখল হয়ে থাকা ওই কোয়ার্টার দখলমুক্ত করতে আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রস নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ সৌমিত্র রায় ২২ জুলাই সেচ দফতরের ওই ইন্সপেকশন বাংলো থেকে সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে উচ্ছেদ করার দাবিতে রতুয়া-১ বিডিওর মাধ্যমে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। জেলা কংগ্রেসের ওই নেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূরও। তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট আমলে রাজ্যের সেচ দফতর আরএসপি’র দখলে ছিল। সেই সুযোগে সেচ দফতরের আধিকারিকদের প্রভাবিত করে ইন্সপেকশন বাংলোটি ওই সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নামমাত্র টাকায় ভাড়ায় দেওয়া হয়। যদি সেচ দফতর শীঘ্রই সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ওই ইন্সপেকশন বাংলো থেকে উচ্ছেদ না করে তবে কংগ্রেস আন্দোলনে নামবে।” ওই সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রাক্তন সম্পাদক তথা রতুয়ার আরএসপি বিধায়ক রহিম বক্সি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই বাংলোটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল! আমিই বাংলোটির সংস্কার করে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস করেছি। সেচ দফতর ৭০০ টাকা থেকে ভাড়া বাড়িয়ে ৭০০০ টাকা করেছে। ভাড়া কমানোর আর্জি জানানো হবে।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর মালদহে নদী ভাঙন এবং বন্যা পরিস্থিতির নজরদারি ও কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য ৭-৮ বছর আগে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে রতুয়া-১ ব্লক অফিসের সামনে ইন্সপেকশন-বাংলো-কাম ইঞ্জিনিয়ারদের কোয়ার্টার তৈরি করা হয়। কিছুদিন ব্যবহার করার পরই ওই ইন্সপেকশন বাংলোটি তালা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। এরপর ২০০৬ সাল নাগাদ রতুয়ার আরএসপি নেতা তথা বিধায়ক রহিম বক্সি ওই সেচ্ছাসেবী সংগঠনের জন্য সেচ দফতরের কাছ থেকে মাত্র ৭০০ টাকা ভাড়ায় ওই ইন্সপেকশন বাংলোটি জোগাড় করে দেনয় তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ওই ইন্সপেকশন বাংলোটি ওই সেচ্ছাসেবী সংগঠনের দখলে। ভাড়ার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও সেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ইন্সপেকশন বাংলো ছাড়ছে না। সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার নির্মল বর্মন বলেন, “জেলা থেকে ওই বাংলো কোনও সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দেওয়া হয়নি। সেচ দফতরের সচিব স্বল্পমেয়াদি লিজে ৭০০ টাকা মাসিক ভাড়ায় বাংলোটি এক সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দেন। লিজের মেয়াদ জুনে শেষ হয়ে গিয়েছে। পুনরায় সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ৭০ হাজার টাকা সিকিউরিটি জমা দিয়ে মাসিক ৭০০০ টাকায় নতুন করে চুক্তি করা জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও ওঁরা আসেননি। |
|
|
|
|
|