এক প্রতিবন্ধী যুবকের শংসাপত্র অন্য জনকে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিউড়ি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই প্রতিবন্ধী যুবকের বাবা হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত ভাবে গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শংসাপত্রের জন্য ১৪ জুন ময়ূরেশ্বর থানার কামারহাটি গ্রামের এক প্রতিবন্ধী যুবক প্রসেনজিৎ দাস সিউড়ি সদর হাসপাতালে আবেদন করেছিলেন। পরের দিন তাঁর প্রয়োজনীয় পরীক্ষাও হয় হাসপাতালে। ওই যুবকের পরিবারের দাবি, পরীক্ষা করানোর সময় তাঁদের বলা হয়, মাসখানেক বাদে হাসপাতালে এসে শংসাপত্র নিয়ে যেতে। সেই মতো প্রসেনজিৎবাবুর বাবা সমরেন্দ্রবাবু ২০ জুলাই হাসপাতালে যান। কিন্তু শংসাপত্র দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মী জানিয়ে দেন, অন্য একটি শংসাপত্র নিতে আসা এক ব্যক্তি নিজেকে প্রসেনজিতের আত্মীয় বলে দাবি করে তাঁর শংসাপত্র নিয়ে যান। |
এই ঘটনায় চরম সমস্যায় পড়েছেন সমরেন্দ্রবাবু। তিনি বলেন, “বিস্তর হয়রানি করার পরে যদি বা শংসাপত্রের ব্যবস্থা হল, কিন্তু কোনও কাজেই লাগল না। ভেবেছিলাম শংসাপত্র পেলে ছেলে সরকারি সহায়তা পাবে।” তাঁর অভিযোগ, “স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতিতে এমনটা ঘটেছে। কেন না কোনও পরিচয়পত্র না দেখে অন্যকে শংসাপত্র দেওয়া হলে কী করে? আসলে প্রতিবন্ধীদের শংসাপত্র এই ভাবে হাতিয়ে নিয়ে সরকারি সহায়তা আত্মসাতের জন্য একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে শুনেছি।” হাসপাতাল সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরে শংসাপত্র বণ্টনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের রিপোর্টে গাফিলতি প্রমাণিত হলে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, প্রতিবন্ধী নিজেই অথবা তাঁর পরিচিতি পত্রধারী ব্যক্তিকেই শংসাপত্র দেওয়ার নিয়ম। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশকেও জানানো হয়েছে বলে সুপার জানিয়েছেন। ওই যুবককে বিকল্প শংসাপত্র দেওয়া হবে বলেও সুপার জানান। |