|
|
|
|
টানা ৪ ঘণ্টা ঘেরাও স্কুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
পুকুর না-কেটে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যকে ৪ ঘণ্টা স্কুল ঘরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল জনতা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা শহরের মসল্লাপট্টি এলাকায়। রাত ১১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। অভিযুক্ত ওই সদস্যকে গ্রেফতার ও পঞ্চায়েত সদস্যপদ খারিজ করার দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ব্লক প্রশাসন। বিডিও সুশান্ত মণ্ডল বলেন, “পুকুর খননের কিছু কাজ হয়েছে বলে শুনেছি। পুরো বিষয়ে সোমবার তদন্ত করতে অফিসারদের পাঠাব।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফালাকাটা থানা চত্বরে পুকুর খননের জন্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ঠিক হয় ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হবে। এ কাজের কথা এলাকার উন্নয়ন কমিটির কয়েক জন সিপিএম নেতা ছাড়া কেউ জানতেন না বলে অভিযোগ। শনিবার মসল্লাপট্টি পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রাম সংসদের সভায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণা ঘোষ কাজের খতিয়ান দেন। তখনই পুকুর খননের বরাদ্দের বিষয়টি নজরে পড়ে। প্রথম পর্যায়ের ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ পুকুর থেকে মাটি তোলাই হয়নি বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা কৃষ্ণাদেবীকে ঘেরাও করে রাখেন। এলাকার তৃণমূল নেতা গদাই দে’র অভিযোগ, “নিজেদের হেপাজতে থাকা জব কার্ড দেখিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই পঞ্চায়েত। আমি উন্নয়ন কমিটির সদস্য হয়েও ওই কাজের ব্যাপারে জানতাম না।” অভিযুক্ত কৃষ্ণা দেবী বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কাজের বিষয়টি আমি জানতাম না। পাশের পঞ্চায়েত কাজটির কথা জানিয়ে তার এলাকা থেকে শ্রমিক পাঠায়। আমি ৪-৫ দিন কাজের দেখাশোনা করেছি মাত্র। আত্মসাতের প্রশ্ন ওঠে না। আমায় পছন্দ না-হলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব।” ফালাকাটা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পরেশ সরকার বলেন, “পুকুর খনন ছাড়াও থানা চত্বর পরিষ্কারের কাজ সেই টাকায় ধরা হয়েছিল। সোমবার অফিসে গিয়ে এই নিয়ে বিস্তারিত খবর নেব।” |
|
|
|
|
|