বিষয়: ভারতের রাষ্ট্রপতি
চার বছর আগে ঠিক এই দিনটিতে ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন প্রতিভা পাটিল। তাঁর পূর্বসূরি ছিলেন এক অ-সামান্য ব্যক্তিত্ব মাথা-ভর্তি ঝাঁকড়া চুল, শিক্ষক, মহাকাশ-বিজ্ঞানী, চিন্তাশীল মানুষটি লক্ষ লক্ষ অনুরাগীর মন জয় করেছিলেন। কার কথা বলছি, বলে দিতে হবে না নিশ্চয়ই। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে প্রতিভা পাটিলের নির্বাচনী রেকর্ডটা কিন্তু চমকপ্রদ। মহারাষ্ট্রের মানুষ, জলগাঁও বিধানসভা কেন্দ্রে জীবনের প্রথম ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৮৫, মুক্তাইনগর (আগেকার এদলাবাদ) কেন্দ্র থেকে পর পর চার বার জয়ী হয়ে বিধানসভার সদস্য হন। ১৯৯১ সালে অমরাবতী লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনে জয়ী হন। আজ অবধি একটি নির্বাচনেও তিনি পরাজিত হননি!
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মনোনয়নপত্রে অন্তত পঞ্চাশ জন নির্বাচকের নাম প্রস্তাবক হিসাবে
থাকতে হয়, আরও অন্তত পঞ্চাশ জনের নাম থাকতে হয় সমর্থক হিসাবে। উপরাষ্ট্রপতির
ক্ষেত্রে সংখ্যাটি হল কুড়ি। কোনও নির্বাচকই প্রস্তাবক বা সমর্থক হিসাবে একটির বেশি
মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারেন না, করলে তাঁর নাম-সহ দাখিল করা
প্রথম মনোনয়নপত্রটিই কেবল গ্রাহ্য হয়।
জানো কি
ভারতের রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করেন একটি বিশেষ ইলেক্টরাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলী, তার সদস্যরা হলেন (১) সংসদের দুই কক্ষের, অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্যসভার নির্বাচিত সদস্যরা এবং (২) দিল্লি ও পুদুচ্চেরি সহ সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যরা। আইনসভার মনোনীত সদস্যরা (যেমন লোকসভার দু’জন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সদস্য এবং রাজ্যসভার বারো জন মনোনীত সদস্য) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের অধিকারী নন।

রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থীকে ১৫০০০ টাকা জামানত হিসাবে রাখতে হয়। নির্বাচিত না হলে এবং মোট বৈধ ভেটের অন্তত ছ’ভাগের এক ভাগ না পেলে ওই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার ত্রিশ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করা যায়, তবে সেটা করতে পারেন হয় কোনও প্রার্থী অথবা, সম্মিলিত ভাবে, নির্বাচকমণ্ডলীর অন্তত কুড়ি জন সদস্য।

রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী যত জন, প্রত্যেক নির্বাচকের (অর্থাৎ সাংসদ বা বিধায়কের) ততগুলি ভোট থাকে। যেমন, প্রার্থীর সংখ্যা তিন হলে প্রত্যেক নির্বাচক তিনটি অবধি ভোট দিতে পারেন। ভোট দেওয়ার সময় প্রত্যেক নির্বাচককে জানিয়ে দিতে হবে, কে তাঁর প্রথম পছন্দ, কে দ্বিতীয়, কে তৃতীয়। তবে সব ক’টি ভোটই দিতে হবে অর্থাৎ সব পছন্দই জানাতে হবে, এমন কোনও বাধ্যতা নেই।

সাংসদরা ভোট দেন দিল্লিতে, বিধায়করা আপন আপন রাজ্যে। তবে সব ভোট গোনা হয় দিল্লিতে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্যালট বাক্সগুলি সংসদ চত্বরে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথমে গোনা হয় প্রথম পছন্দের ভোট। তার পর প্রয়োজনে পরবর্তী পছন্দের ভোট গণনা করা হয়।

লোকসভা বা রাজ্যসভার মহাসচিব এই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হিসাবে কাজ করেন।

নির্বাচন কমিশন ১৯৫২ সালের ২ মে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আয়োজন করেছিল। জয়ী হয়েছিলেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ। তিনি পেয়েছিলেন ৫,০৭,৪০০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে টি শাহ পেয়েছিলেন মাত্র ৯২,৮২৭ ভোট।

প্রথম অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছিল ১৯৬৯ সালে, রাষ্ট্রপতি জাকির হোসেনের মৃত্যুর ফলে। পঞ্চম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৪,২০,০৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন বরাহগিরি বেঙ্কটগিরি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীলম সঞ্জীব রেড্ডি পান ৪,০৫,৪২৭ ভোট।
বলো তো
কে ১৯৯২ জুলাই থেকে ১৯৯৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন দফতরের সচিব ছিলেন?
কে ১৯৮০ জানুয়ারি থেকে ১৯৮২ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন?
কে স্পিকার হওয়ার পরে তাঁর রাজনৈতিক দল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগ করেছিলেন?
কার জন্মদিন (৫ সেপ্টেম্বর) এ দেশে শিক্ষক দিবস হিসাবে মান্য হয়?
১৯৬৩ সালে কাকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক জাতীয় সম্মান ভারতরত্ন অর্পণ করা হয়েছিল?
উত্তর
১) এ পি জে আবদুল কালাম ২) আর বেঙ্কটরমন ৩) নীলম সঞ্জীব রেড্ডি
৪)সর্বেপল্লী রাধাকৃষ্ণন ৫) জাকির হোসেন
Previous Item Prostuti Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.